অসুস্থ ৬০০ জন, মৃত ৪, কোভিড–ভ্যাকসিন প্রতিকূল ঘটনায় বিশ্বের মধ্যে ভারতের স্থান নিম্নতর
১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন ডোজের টিকাদান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। টিকাদান প্রক্রিয়ার পাঁচদিনের মাথায় দেশে কমপক্ষে ৬০০টি প্রতিকূল ঘটনার খবর মিলেছে। যা বিশ্বের মধ্যে নিম্নতর। এর মধ্যে বুধবারই ৮২টি এ ধরনের ঘটনার রিপোর্ট হয়েছে। সরকারিভাবে জানা গিয়েছে, কোভিড টিকাদান প্রক্রিয়া চলাকালীন ছ’টি রাজ্য থেকে ১০ জনের হাসপাতালে ভর্তির খবর পাওয়া গিয়েছে, যদিও যার মধ্যে সাতজনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওযা হয়।

বিভিন্ন রাজ্যে অসুস্থ টিকাদানের পর
দিল্লিতে চারজন অসুস্থ হয়ে পড়েন টিকা নেওয়ার পর। যাঁদের মধ্যে একজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন, যাঁকে শাহদারার রাজীব গান্ধী হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে কর্নাটকে ২টি এ ধরনের মামলার খবর পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে একজনকে চিত্রদুর্গার সরকারি হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এছাড়াও উত্তরাখণ্ড, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও পশ্চিমবঙ্গ থেকেও টিকাদানের পর একজন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বাংলায় একজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
অন্যান্য জেলা থেকে তিনজন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও, পশ্চিমবঙ্গের মূর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুরে একজন এখনও উপ-মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব মনোহর অগনানি বলেন, ‘এইএফআই টিকাদান কোনভাবেই গুরুতর বা মারাত্মক অসুস্থতার জন্য দায়ি নয়।'

৮০০,০০০ জন টিকা নিয়েছেন
সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, দেশে এখনও পর্যন্ত ৮০০,০০০ (৭,৮৬৮,৪২) স্বাস্থ্যকর্মীকে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকাদান করা হয়েছে ১৪,১১৯ সেশনের মাধ্যমে এবং বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ১১২,০০৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী।

দেশে মৃত্যু ৪ জনের
টিকাদানের পর আরও ২টি নতুন মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। দেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ড্রাইভ শুরু হওয়ার পর থেকে এই নিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এই দু'টি নতুন মৃত্যু হয়েছে কর্নাটকের শিবামোগা ও তেলঙ্গানার নির্মল থেকে। অগনানি যদিও এই মৃত্যু প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘যে তিন-চার জনের মৃত্যু হয়েছে সেখানে দেখা গিয়েছে তাঁদের মৃত্যুর সঙ্গে টিকাদানের কোনও সম্পর্ক নেই।'