রাঁচি: গুরুতর অসুস্থ বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। তিনি ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির রিমস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন বর্ষীয়ান লালুপ্রসাদের শ্বাসকষ্ট বেড়েছে।

তিনি নিউমোনিয়া আক্রান্ত। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির মামলায় রাঁচিতে বন্দি আরজেডি প্রধান। তবে তিনি জামিন নিতে মরিয়া। বিহারে প্রবেশের জন্য আইনত কিছু বাধা আছে এখনও।

জানা যাচ্ছে, লালুপ্রসাদের অক্সিজেন মাত্রা দ্রুত কমতে শুরু করেছে। যার ফলে চিকিৎসকরা উদ্বেগে। এদিকে তাঁর অসুস্থতার খবরে বিহারের রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য। আরজেডি সুপ্রিমোর অসুস্থতা নিয়ে চিন্তিত ঝাড়খণ্ড সরকারও। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন লালুপ্রসাদের খবর নিচ্ছেন।

সূত্রের খবর, পাটনায় লালুপ্রসাদের স্ত্রী তথা অপর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী ও তাঁর দুই পুত্র তেজস্বী, তেজপ্রতাপ কে নিয়ে রাঁচি আসছেন।

কার্যত বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উদ্বেগ বেড়েছে তাঁর অনুগামীদের মধ্যেও।

জানা যাচ্ছে, রাঁচির রিমস হাসপাতালে পৌঁছে লালুপ্রসাদের চিকিৎসার খবর নিলেন ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বন্না গুপ্তা। আরজেডি ঝাড়খণ্ড রাজ্য শাখার নেতারাও ইতিমধ্যে হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছেন। কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব ও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতারা হাজির হতে শুরু করেছেন।

উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডে গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারানোর মূল কারিগর লালুপ্রসাদ যাদব। তাঁর নির্দেশে তৈরি হয় জেএমএম, কংগ্রেস ও আরজেডি মহাজোট। তাতে শিলমোহর দেন জেএমএম ‘গুরুজি’ শিবু সোরেন। মহাজোট জয়ী হয়। সেই জোটের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। পরে এই মামলার চাঁইবাসা ট্রেজারির অর্থ তছরুপে দোষী প্রমানিত হয়ে রাঁচির জেলে যান লালুপ্রসাদ। অভিযোগ, জেল হাসপাতাল থেকেই লালুপ্রসাদ নিজের মতো রাজনীতি চালাচ্ছেন।

তবে তাঁর জন্য বিশেষ সুবিধা আছে। বিহারে বিধানসভা ভোটে রাঁচির রিমস হাসপাতালের বিশেষ কামরা থেকে আরজেডি মহাজোটের নেতৃত্ব দেন তিনি।

মহাজোট ক্ষমতায় না এলেও বিজেপি জেডিইউ জোটের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলেছে। বর্ষীয়ান লালুপ্রসাদের অসুস্থতায় বিহার ঝাড়খণ্ড ছাড়িয়ে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও উদ্বেগ ছড়িয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।