মমতার ডাকেও সাড়া দিলেন না 'শুভেন্দু অনুগামী' নেতা! ফের বিশাল ভাঙনের মুখে তৃণমূল
মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলে বড় ভাঙনের ইঙ্গিত। মার্শিদাবে চলতে থাকা দলীয় কোন্দল মেটাতে তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডাকে শীর্ষ নেতৃত্ব। বিশেষ এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত আবু তাহের এবং কংগ্রেস থেকে শুভেন্দুর হাত ধরে তৃণমূলে আসা মোশারফ হুসেন। বর্তমানে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশআরফ। তবে জানা গিয়েছে বৈঠকে যোগ না দিয়ে নিজের বাড়িতেই থেকে গিয়েছেন মোশারফ হুসেন। মনে করা হচ্ছে শুভেন্দুর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ না দিলেও তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন তিনি।

মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যবক্ষেক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যবক্ষেক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কিছু অনুগামী ও পকেট এখনও মুর্শিদাবাদে রয়ে গিয়েছে বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের মতে সেটা ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদকে পাখির চোখ করে বসে রয়েছে আসাদউদ্দিন ওয়েসির দল মিম ও আব্বাস সিদ্দিকীর দল।

বদলে যেতে পারে তৃণমূলের ভোট সমীকরণ
মুর্শিদাবাদে মিম বা সিদ্দিকির দল প্রার্থী দিলে বদলে যেতে পারে তৃণমূলের ভোট সমীকরণ। ফলে মুর্শিদাবাদ জেলা নিয়ে রাজ্যের শাসকদল বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে, মুর্শিদাবাদে বিরোধীদের এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ তৃণমূল ৷ মুর্শিদাবাদ জেলাকে গোছাতে ফের তৎপর হল তৃণমূল।

চিন্তায় তৃণমূল কংগ্রেস সহ অন্যান্য দলরা
যে জিনিসটা তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের নেতৃত্বকে চিন্তায় রেখেছে সেটি হল আসাদউদ্দিন ওয়েইসির সংখ্যালঘু ভোট ভাগের ফলে বহুক্ষেত্রে বিহার নির্বাচনে লাভবান হয়েছে বিজেপি। ওয়েইসি জানিয়েছেন যে বাংলাতে আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁর দল ভোট লড়বে একক শক্তিতে। যদি তাই হয়, তাহলে মুর্শিদাবাদ এবং মালদার মতো সংখ্যালঘু- অধ্যুষিত জেলাগুলিতে কংগ্রেস, তৃণমূল এবং বামফ্রন্টের যথেষ্ট চিন্তার কারণ থেকে যাচ্ছে।

উপস্থিত থাকার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও
এই আবহে আজ মুর্শিদাবাদ জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল দলের শীর্ষ নেতৃত্বের। বিকেলে তৃণমূল ভবনে হবে বিশেষ এই বৈঠক অবশ্য আর হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। মুর্শিদাবাদ জেলা নেতৃত্বকে চাঙা করতে শীর্ষ নেতারা বৈঠক থেকে ভোকাল টনিক দেবেন বলেই খবর। এমনকী জেলার নেতাদের মধ্যে দায়িত্বভার ভাগ করে দেওয়ার কথা ছিল।