নয়াদিল্লি: নেট দুনিয়ায় তুমুল ভাবে মেড ইন ইন্ডিয়া সোশ্যাল মিডিয়ার দাবি করে থাকেন ভারতীয় ইউজাররা৷ কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় যে দাবি করা হচ্ছে, বাস্তবে তার সঙ্গে কোনও মিল নেই৷ বাস্তবে তাঁরা ভারতের তৈরি অ্যাপ ব্যবহার করতেই চাইছেন না। যার প্রকৃষ্ট প্রমাণ হল হাইকের স্টিকার চ্যাট অ্যাপের যাত্রা শেষ হয়ে যাওয়া৷
মাত্র দুই বছরের মধ্যেই বন্ধ হয়ে গেল এই অ্যাপ।
হাইকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কেভিন ভারতী মিত্তাল টুইট করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হাইক স্টিকার চ্যাট অ্যাপটি হাইক অ্যাপ হিসাবেও পরিচিত। কিছুদিন আগে মিত্তাল টুইট করে বলেছিলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে হাইক অ্যাপ বন্ধ হয়ে যাবে৷ যদিও হাইকমোজি এবং হাইকের অন্যান্য পরিষেবা অব্যাহত থাকবে।
প্রাথমিক ভাবে, কয়েক মিলিয়ন লোক হাইক ব্যবহার শুরু করেছিলেন৷ প্রত্যেক ইউজার এই অ্যাপ্লিকেশনটিতে ৩৫ মিনিটের বেশি সময় দিচ্ছিলেন৷ তবে অ্যাপটি সংস্থার প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়৷ ভারতীয় মেসেজিং অ্যাপ হাইক অ্যাপ্লিকেশন স্টোর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপকে টক্কর দিতেই ভারতে এই অ্যাপ চালু করা হয়েছিল।
এখানে বিনিয়োগ করেছিল জাপানের সফটব্যাঙ্ক গ্রুপ৷ এ ছাড়াও চিনের ওয়েচ্যাট অপারেটর টেনসেন্ট হোল্ডিংসও অর্থ বিনিয়োগ করেছিল। হাইক অ্যাপটি শুরু করেছিলেন ভারতী এয়ারটেলের প্রোমেটার সুনীল ভারতী মিত্তালের ছেলে কেভিন ভারতী মিত্তাল।
সংস্থার এক মুখপাত্র বলেন, ইউজাররা ডাটা অ্যাপে নিরাপদ। তাঁরা চাইলে ডাউনলোড করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, হাইকমোজি তার দুটি নতুন অ্যাপস ভিবে এবং রুশের সঙ্গে উপলব্ধ থাকবে। বলে রাখা ভালো, রুশ একটি গেম অ্যাপ্লিকেশন৷
যার সাহায্যে আপনি ক্যারাম এবং লুডোর মতো গেম অনলাইনে খেলতে পারেন। ২০১৯ সালে হাইক স্টিকার চ্যাট অ্যাপটি চালু করেছিলেন৷ হাইকার স্টিকার চ্যাট অ্যাপটিতে ৪০ টি ভারতীয় ভাষায় ৩০,০০০-এরও বেশি স্টিকার রয়েছে৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.