বিকাশকে চাপ দিয়ে 'বড় মাছ' ধরতে চাইছে সিবিআই! বিনয়ের বিরুদ্ধে জারি হবে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যত দিন গড়াচ্ছে ততই গোরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডের সিবিআই তদন্তে উঠে আসছে নতুন নতুন প্রভাবশালীর নাম। তৃণমূল যুব কংগ্রেস নেতা বিনয় মিশ্রর পরে নাম ওঠে বিকাশ মিশ্র। কিছুদিন আগে বিনয় মিশ্রর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে আজ নিজাম প্যালেসে বিনয়ের ভাই বিকাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই।

আজ বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্র সিজিও কমপ্লেক্সে
কালকের পর ফের আজ বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্র হাজিরা দিলেন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। গতকালই বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্রকে প্রায় সারে চার ঘণ্টা ধরে জেরা করেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। তবে গতকাল তাঁকে যে সকল প্রশ্ন করা হয়, তার বেশির ভাগই তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন বলে সিবিআই সূত্রের খবর।

বিনয় মিশ্রকে একাধিকবার তলব করেছিল সিবিআই
তৃণমূল যুব কংগ্রেস নেতা বিনয় মিশ্রকে একাধিকবার তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু প্রতিবারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। এবার তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে চলেছে সিবিআই। এর আগে বিনয় মিশ্রকে নাগালে পাওয়ার জন্য তাঁর কলকাতার একাধিক বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই।

কীভাবে কাজ করতেন বিকাশ?
ফলে এদিন বিকাশকে সকাল ১১টার মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হয়। সেই মতো তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন৷ তাঁকে জেরা শুরু করেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে খবর, বিনয় মিশ্রকে সরাসরি ভাবে টাকা লেনদেনের মাধ্যমে সাহায্য করতেন তাঁর ভাই বিকাশ মিশ্র। পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে কয়লা পাচারকাণ্ডের টাকা এই বিকাশের মাধ্যমেই পাচার করা হত বলে জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। অপরদিকে একাধিকবার চিঠি দিয়ে হাজিরার জন্য তলবও করেছিল তারা৷ বিনয় মিশ্র হাজিরা না দেওয়ায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলে সূত্রের খবর।

বিকাশ মিশ্রও গোরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডে জড়িত
সিবিআই সূত্র জানা গিয়েছে, সম্প্রতি গোয়েন্দাদের হাতে এমন কিছু তথ্য এসেছে, যাতে পরিষ্কার যে বিনয় মিশ্রের মতো তাঁর ভাই বিকাশ মিশ্রও গোরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডে জড়িত। সিবিআই আধিকারিকদের অনুমান, বিকাশকে চাপ দিলেই ফেরার বিনয় মিশ্রকে চাপে ফেলা যাবে।

ফেরার লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত
এদিকে, পাচারচক্রের পাণ্ডা ফেরার অনুপ মাঝিঁ, ওরফে লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আসানসোলের বিশেষ আদালতে দাখিল করা সিবিআইর পিটিশনের শুনানির পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দু'টি গুরুত্বপূর্ণ অনুমতি পেয়েছে৷ প্রথমটি হল, লালার আসানসোল, রানিগঞ্জ এবং পুরুলিয়ার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা যাবে৷ দ্বিতীয়ত, লালাকে সরকারিভাবে ফেরার ঘোষণা করতে পারবে তদন্তকারী সংস্থা। এরপরই লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।