কলকাতা : নেতাজিকে নিয়ে চলছে দড়ি টানাটানি। নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষে হাওড়া- কালকা মেলের নাম পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে ‘নেতাজি এক্সপ্রেস’। রাজ্যও কম যায় না। নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানাতে এসবিএসটিসি উদ্যোগ নিয়ে কৃষ্ণনগর বাস টার্মিনাসকে ‘নেতাজি সুভাষ এসবিএসটিসি বাস টার্মিনাস’ দেওয়া হবে বলেই জানানো হয়েছে।

এখানেই শেষ নয় টালিগঞ্জ থেকে ঝাড়গ্রাম পর্যন্ত বাস সার্ভিসের নাম দেওয়া হবে ‘জয় হিন্দ এক্সপেস’, টালিগঞ্জ থেকে তারাপীঠ পর্যন্ত বাস সার্ভিসের নাম দেওয়া হবে ‘আজাদ হিন্দ এক্সপ্রেস’ ও মায়াপুর থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত একটি বাস সার্ভিসের নাম দেওয়া হবে ‘নেতাজি এক্সপ্রেস’। আর এই বাস রুটগুলি শুরু হবে নতুন ভাবে। নেতাজিকে কেন্দ্র করেই রাজ্য-কেন্দ্রের টক্কর চলছে। কেন্দ্র সরকার ঘোষণা করেছে নেতাজির জন্মদিনকে ‘পরাক্রম-দিবস’ হিসাবে। যা মানতে নারাজ তৃণমূল সহ বামেরা।

উল্লেখ্য, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে একই মঞ্চে উপস্থিত থাকতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী শনিবার নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষে দুটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত থাকবেন একটা হবে। একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে ও অন্যটি হবে জাতীয় গ্রন্থাগারে। ‘পরাক্রম-দিবস’- হিসাবে ২৩ জানুয়ারিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হবে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল থেকে। যার আয়োজনে রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। আর সেই অনুষ্ঠানেই কেন্দ্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

নেতাজীকে নিয়ে নাম বদল ছাড়াও তাঁর জন্মদিন কী নামে পালিত হবে তা নিয়েও চলছে দড়ি টানাটানি। বিজেপি সরকার চাইছে সুভাষের জন্মদিন হোক পরাক্রম দিবস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকার চাইছে তেইশে হোক দেশনায়ক দিবস। আর নেতাজীর গড়া ফরোয়ার্ড ব্লক বারবারই জানিয়ে এসেছে দেশপ্রেম দিবসের কথা। এদিকে নেতাজির পরিবার চাইছে শুধু সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিনটি অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারি নয় নেতাজির আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ হোক ৩৬৫ দিন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।