ওয়াশিংটন: আন্তর্জাতিক মহলে অনেকটা চমক দিয়েই আমেরিকার মসনদে এসেছিলেন The Trump Organization-এর মালিক। তারপর একের পর এক ট্যুইট, বক্তব্যের অভিনবত্বে ছাপ রেখেছেন তিনি। নির্বাচন নিয়েও জড়িয়েছেন বিতর্কে। অবশেষে, সেই রাজত্বের অবসান।
সিংহাসনে বসবেন নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার আগে শেষবারের মত হোয়াইট হাউস ছাড়লেন সস্ত্রীক ট্রাম্প।
আমেরিকার মসনদের দিকে নজর থাকে গোটা বিশ্বের। তাই ওয়াশিংটনের নয়া অধিপতির অভিষেক বরাবরই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। তবে এবার সেই পরিবর্তন খুব একটা শান্তিপূর্ণ হয়নি। বিক্ষোভ, হামলা, আইন-আদালতে জেরবার হয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তারমধ্যে দিয়ে আজ বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন জো বাইডেন। তাঁর শপথ অনুষ্ঠান ঘিরে নিররাপত্তা বেষ্টনীতে ঘিরে রাখা হয়েছে ওয়াশিংটন।
এবারের শপথ অনুষ্ঠান প্রত্যেকবারের থেকে একবারে আলাদা। কার্যত সেনা ছাউনিতে পরিণত হয়ে গিয়েছে ওয়াশিংটন ডিসি। যেখানে প্রতিবার লক্ষ লক্ষ মানুষ অভিষেক অনুষ্ঠানে আসে, সেখানে এবার ভারী গামবুটের শব্দ। ২৫ হাজার সেনা রয়েছে নিরাপত্তার খাতিরে।
হোয়াইট হাউজ থেকে শপথ অনুষ্ঠান বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সরাসরি সম্প্রচার করার কথা রয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষের জায়গায় এবার থাকছে প্রায় ২ লক্ষ পতাকা। রয়েছে ৪০০ আলোকস্তম্ভ। করোনার জেরে আমেরিকায় যে কয়েক লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের কথা স্মরণে রেখেই এই পতাকা ও আলোকস্তম্ভের ব্যবস্থা।
জানা গিয়েছে, বাইডেনের এই অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে পাঁচশো থেকে হাজারখানেক অতিথি, যাঁদের অধিকাংশই কংগ্রেস সদস্য ও বাইডেন-হ্যারিস পরিবারের লোকজন। বাইডেনের শপথ গ্রহণের ঘন্টা তিনেক আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প স্ত্রী মেলানিয়াসহ ওয়াশিংটন ছেড়ে চলে যাবেন ফ্লোরিডায়।প্রেসিডেন্টের বিমান এয়ারফোর্স ওয়ানে চড়ে তিনি ফ্লোরিডা যাবেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে শপথ নেওয়ার পরেই নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সপরিবারে হোয়াইট হাউজে উঠবেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.