ভ্যাকসিন হয়ে গেল বরফ, অসমের হাসপাতালে নষ্ট ১০০০ ডোজ কোভিশিল্ড
কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ১০০০ ডোজ (১০০ ভায়ালস) নষ্ট হল অসমের কাচার জেলার শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (এসএমসিএইচ)। জানা গিয়েছে, কোভিশিল্ডের ডোজগুলি শূন্য ডিগ্রির নীচের তাপমাত্রায় রাখা ছিল। প্রসঙ্গত, শনিবার ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে করোনা ভ্যাকসিন ড্রাইভ শুরু হয়েছে।

তদন্তের নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রীর
এই ঘটনাটি ১৬ জানুয়ারি সকালেই স্বাস্থ্য মন্ত্রককে রিপোর্ট করা হয়েছিল তবে তা প্রকাশ্যে এসেছে সোমবার রাতে। অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন যে সম্ভবত সঠিক প্রশিক্ষণের অভাবে, কর্মচারিরা ওই ভ্যাকসিন ঠিকভাবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেননি। তিনি এও জানিয়েছেন যে ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা বিষয়টি পর্যালোচনা করতে শিলচর যাবেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ অসমের কোল্ড চেইন আধিকারিকদের এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।

২–৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা হয় ভ্যাকসিন
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘আমি জানতে পারি যে কিছু ডোজ কোল্ড স্টোরেজে রাখা আছে। কিন্তু কোভিড ভ্যাকসিন স্টোরেজ পদ্ধতি খুবই নতুন। হতে পারে কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাবে এই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু যদি দেখা যায় যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করেছে, তবে ওই আধিকারিকদের শাস্তি দেওয়া হবে।' জেলার টিকাদান আধিকারিক অরুণ দেবনাথ বলেন, ‘এই ভ্যাকসিনগুলি ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখার নিয়ম রয়েছে। এসএমসিএইচে আইএলআরের তাপমাত্রা মাইনাস ৫-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছে। আর সেই কারণে ভ্যাকসিন আংশিকভাবে জমে বরফ হয়ে গিয়েছে।' তিনি জানিয়েছেন যে প্রত্যেক সন্ধ্যায় আইএলআর থেকে,যেখানে ভ্যাকসিন সংরক্ষিত হয়, সেখানে তাপমাত্রার অবস্থান সম্পর্কে সংকেত দেওয়া হয়। যদিও যেদিন কোভিশিল্ডের ডোজ নষ্ট হয়ে গেল, সেদিন যিনি টিকা দেন, তাঁর মোবাইলে কোনও সংকেত আসেনি। দেবনাথ জানিয়েছেন যে এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

শোকজ নোটিস
জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন (অসম)-এর পক্ষ থেকে অতিরিক্ত চিফ মেডিক্যাল ও শিলচর সিভিল হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্তা পিকে রায় এবং এসএমসিএইচে কোভিশিল্ড ডোজের দায়িত্বে থাকা বেশ কিছু আধিকারিককে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে। পিকে রায় যদিও জানিয়েছেন যে এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক।

পূর্ণ তদন্ত করা হবে
সূত্রের খবর, এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর শিলচর সিভিল হাসপাতালে এই নিয়ে বৈঠক হয়। কাছার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস সত্তাওয়ান ভ্যাকসিনের শিশিগুলি নিরাপদে রাখার দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের এবং প্রযুক্তিগত কর্মীদের তিরস্কার করেন। এনএইচএম (অসম) এর পরিচালক লক্ষ্মমণন এস বলেছেন, বিষয়টি পুরোপুরি তদন্ত করা হবে এবং গাফিলতি প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিগ্রস্থ ভ্যাকসিন ডোজটি দিসপুরে প্রেরণ করতে বলা হয়েছে।
ট্রাম্পের উদাসীনতাই কাল! মেয়াদকালের শেষ দিনে আমেরিকায় ৪ লক্ষের গন্ডি ছাড়াল করোনায় মৃতের সংখ্যা