কলকাতা: করোনার প্রকোপ কমলেও রাজ্যে মৃত্যু ও সংক্রমণ অব্যাহত৷ ফের কলকাতায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক চিকি‍ৎসকের৷ মৃত চিকিৎসক কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান যাদব চট্টোপাধ্যায়৷ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৯৩ জন চিকিৎসকের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে খবর৷

সূত্রের খবর,মাসখানেক আগে চিকিৎসক যাদব চট্টোপাধ্যায় করোনায় আক্রান্ত হন৷ তারপর তিনি মেডিকেল কলেজের সুপার স্পেশালিটি ব্লকে চিকিৎসাধীন ছিলেন৷ পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুকুন্দপুর মেডিকা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়৷ সেখানেই মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়৷ তার মৃত্যুতে চিকিৎসক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷

করোনা ভাইরাসের শুরু থেকেই চিকিৎসক,নার্স,স্বাস্থ্যকর্মী,পুলিশ প্রশাসনসহ অনেকেই একেবারে সামনের সারিতে থেকে লড়াই করছে৷ মঙ্গলবারের স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, একদিনে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ আক্রান্ত আরও ৪১২ জন৷ ফলে এই পর্যন্ত রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ৭৪ জন৷ আর মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৭৩ জন৷

তবে স্বস্তির খবর, বাংলায় একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৫১৩ জন৷ মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লক্ষ ৪৯ হাজার ২১৮ জন৷ এই মূহুর্তে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যাটা কমে ৬ হাজার ৭৮১ জন৷ সুস্থতার হার বেড়ে ৯৭.০২ শতাংশ৷

একদিনে টেস্ট হয়েছে ৩০ হাজার ৩৪ টি৷ সব মিলিয়ে বাংলায় মোট করোনা টেস্ট হয়েছে প্রায় ৭৭ লক্ষ৷ তথ্য অনুযায়ী ৭৬ লক্ষ ৯৬ হাজার ২৭২ টি৷ ফলে প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় টেস্টের সংখ্যা বেড়ে হল ৮৫,৫১৪ জন৷

এই মুহূর্তে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে ১০১ টি ল্যাবরেটরিতে করোনা টেস্ট হচ্ছে৷ আরও ১ টি ল্যাবরেটরি অপেক্ষায় রয়েছে৷

এদিকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে করোনা টিকাকরণ কর্মসূচি (Covid19 vaccination run in Bengal)৷ ২০৭ টি কেন্দ্রের মধ্যে কলকাতায় রয়েছে ১৯ টি কেন্দ্র৷ প্রতিটি কেন্দ্র থেকে তালিকা অনুযায়ী প্রতিদিন ১০০ জন ভ্যাকসিন পাচ্ছে৷ যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও দিনই ১০০ শতাংশ পূরণ হয়নি৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।