দিল্লি হিংসা, কৃষক আন্দোলন ঠেকাতে ‘দক্ষতার’ পরিচয়! পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অমিত শাহ
প্রায় দু-মাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও এখনও কৃষক রোষে ফুঁসছে দিল্লি সীমান্ত। নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দেশজোড়া আন্দোলন চললেও এখনও অধরা সমাধান সূত্র। এমতাবস্তায় গত বছর সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের রেশ ধরে দিল্লি হিংসা, দিল্লি সীমান্তে কৃষক আন্দোলন ঠেকাতে পুলিশ যে ভাবে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে তারই ভূয়সী প্রশংসা করতে দেখা গেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।

ঠিক কী বার্তা দিলেন অমিত ?
এদিন দিল্লি পুলিশের হেডকোয়ার্টারে এসে এই বার্তাই দিলেন অমিত শাহ। পাশাপাশি ব্যক্তিগত ভাবেও একাধিক পুলিশ আধিকারিককে তাঁদের সাফল্যের জন্য পুরষ্কৃতও করলেন। এদিনের সভা মঞ্চ থেকেই অমিত শাহকে বলতে শোনা যায়, " আমি গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শেষবার যখন পুলিশ হেড কোয়ার্টারে আসি তখনও বলেছিলাম পুলিশ সর্বতভাবে সাধারণ মানুষের পাশে আছে। আজও সেই একই কথা বলছি। "

দিল্লি হিংসা, লকডাউনেও সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছে পুলিশ
এখানেই না থেমে নিজের কথার সপক্ষে যুক্তি সাজিয়ে অমিত শাহকে আরও বলতে শোনা যায়, " তারপর কেটে গিয়েছে এক বছরেরও বেশি সময়। করোনার মতো ভয়াবহ মহামারীও এসেছে দেশে। কিন্তু আমি দেখেছি লকডাউনের মতো কঠিন সময়ে দাঁড়িয়েও কী ভাবে পুলিশ সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। উত্তর-পূর্ব দিল্লির দাঙ্গা হোক বা লকডাউন, আনলক পর্ব হোক বা পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য প্রতিক্ষেত্রেই পুলিশের ভূমিকা প্রশংসনীয়।"

দিল্লি সীমান্তে কৃষক আন্দোলন ঠেকাতে পুলিশের ভূমিকায় সাধুবাদ
অন্যদিকে দিল্লি সীমান্তে ‘শান্তিপূর্ণ' ভাবে কৃষক আন্দোলন ঠেকাতে পুলিশ যে ভূমিকা রেখেছে তারও প্রশংসা করেন অমিত শাহ। অন্যদিকে করোনা যুদ্ধে যে সমস্ত পুলিশ কর্মীরা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যেও বিশেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে দেখা যায় অমিতকে। একইসাথে আসন্ন প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দিল্লির নিরাপত্তার বিষয়েও উচ্চাপদস্থ একাধিক পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে এদিনই একটি পর্যালোচনা বৈঠকও করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।

৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি শুরু ডাক
অন্যদিকে ২০২২ সালে ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরুর কথাও বলেন অমিত। এর জন্য দেশের সমস্ত পুলিশ কর্মী ও থানাকে ৫ দফা টার্গেটও বেঁধে নে অমিত। রাষ্ট্রপতি ভবন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, দূতাবাস, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সদর দফতর এবং বিজ্ঞান কেন্দ্র নিরাপত্তা বলয় আরও আঁটোসাঁটো করতেো বিশেষ নির্দেশ দিতে দেখা যায় অমিতকে।