জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বাড়ল মৃতের সংখ্যা। ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালি রায় জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৯ টা নাগাদ তিনটি ছোট গাড়ি করে ধূপগুড়ির ময়নাতলি এলাকায় বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন কনেপক্ষের আত্মীয়রা। সে সময়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ওই গাড়ি। জলঢাকা সেতুর কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে পাথর বোঝাই বোঝাই একটি লরি। সেটির পিছনে ধাক্কা মারে কনেযাত্রীর একটি গাড়ি।
এরপরেই পাথর বোঝাই ডাম্পার নিয়ন্ত্রণ হারায়। সেটি উল্টে যেতেই পিছনে থাকা দুটি যাত্রী বোঝাই গাড়ি পরপর ডাম্পারের উপর এসে পড়ে। সেই দুটি গাড়ির উপর হুড়মুড়িয়ে পাথরের স্তূপ আছড়ে পড়ে। যাত্রীদের চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে দেখেন ভয়াবহ দৃশ্য।

দুর্ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে হাজির হন ধূপগুড়ি থানার আইসি। ক্রেন দিয়ে চলে উদ্ধারকাজ। পাথরের তলা থেকে উদ্ধার করা হয় আহতদের। উদ্ধার হয় মৃতদেহও। আহতদের প্রথমে ধূপগুড়ি হাসপাতালে এবং পরে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়।

দুর্ঘটনাস্থলের ছবি

ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালি রায় জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে ৫ জন ধূপগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এবং ১১ জন জলপাইগুড়ি জেলার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

মৃতরা সকলেই ওই জেলারই বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা। পাথর বোঝাই লরি, ডাম্পার চলাচল করে এই এলাকায়। অভিযোগ, ডাম্পারগুলি সড়ক আইন না মেনে চলাচল করে। বারে বারে দুর্ঘটনা হয় ধূপগুড়িতে।

দুর্ঘটনার জেরে রাতেই পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। এলাকাবাসী তীব্র ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। ধূপগুড়ি দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা, কিন্তু এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা সাম্প্রতিক অতীতে হয়নি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।