স্টাফ রিপোর্টার, বহরমপুর: বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যে পুরভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরাকে চিঠি লিখে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন যে, বিধানসভা ভোটেরা নিজেরা সুবিধা নিতেই পুরভোট করাচ্ছে না তৃণমূল৷
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদ জেলায় ৮টি পুরসভা রয়েছে। এখন পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষের পর বেশিরভাগ পুরসভায় চেয়ারম্যান পদে থাকা ব্যক্তি-ই এখন পুর প্রশাসকের দায়িত্বে। যার তীব্র বিরোধিতা করেছেন অধীর চৌধুরী। তাঁর দাবি রাজনৈতিক নেতারা প্রশাসকের দায়িত্বে থাকায় ভোটের কর্মকাণ্ডে প্রভাব পড়বে। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের অনেক পুরসভায় নির্বাচিত কাউন্সিলারদের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও সেখানে নির্বাচন না করিয়ে প্রশাসক বসিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার। নিজেদের রাজনৈতিক অভিসন্ধি পূরণের জন্যই সাংবিধানিক রীতিনীতিকে লঙ্ঘন করছে তারা। আসলে মে মাসে হতে চলা বিধানসভা নির্বাচনের সময় অনৈতিক সুবিধা লাভের আশায় রাজ্যের পুরসভাগুলিতে নির্বাচন স্থগিত রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। নোংরা রাজনীতির স্বার্থেই এই কাজ করছে তারা।”
প্রসঙ্গত, ২০২০-র মার্চ-এপ্রিলে পুরভোট হওয়ার কথা হলেও, করোনার কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ লকডাউনের জন্য তা স্থগিত হয়ে যায়। তারপর আনলক পর্ব শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত পুরভোট হয়নি। এখন সামনে বিধানসভা ভোট।
এদিকে বুধবার রাজ্যে এসেছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে ফুলবেঞ্চ। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা কলকাতা পৌঁছেই CEO আরিজ আফতাবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠক হয় CEO দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও। এরই পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করবেন রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসারদের সঙ্গেও। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দু’দফায় বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ। প্রথম দফায় রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক হবে। তাদের থেকে বিভিন্ন অভিযোগ শুনবেন নির্বাচন কমিশনার। রাজ্যে নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতির দলের কী বক্তব্য, তার দিকে নজর দেবেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা। এরপরে জেলাশাসক, SP, পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক হবে। শুক্রবার হবে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজির সঙ্গে বৈঠক।
রাজ্যের প্রতি জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট তলব কমিশনের। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিস্তারিত রিপোর্ট নিয়ে আসতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক হিংসা, রাজনৈতিক খুনের তথ্য তলব করা হয়েছে এবং হিংসায় জড়িত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেই প্রশ্নও উঠবে। প্রতি সপ্তাহের পরিস্থিতি নিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের রিপোর্ট জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.