সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : পূর্ণ স্বরাজ দিবসে স্বাধীন ভারতের সংবিধান গৃহীত হয়। এই দিনেই প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদ।
রাজেন্দ্র প্রসাদ বিহারের সিওয়ানে এক কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পিতার নাম ছিল মহাদেব সহায়, তিনি সংস্কৃত ও পারশি ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন। পাঁচ বছর বয়সে তাঁকে মৌলবির কাছে পারশিয়ান ভাষা শিক্ষার জন্যে পাঠানো হয়। ১৮৯৬ সালে ছাপড়ার স্কুলে ভর্তি হন। পরবর্তী শিক্ষা সম্পন্ন হয় পাটনায়। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেন ও বৃত্তি পান। ১৯০২ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন বিজ্ঞান বিভাগে। ১৯০৫ সালে প্রথম শ্রেনীতে উত্তীর্ণ হয়ে কলা নিয়ে পড়তে শুরু করেন ও ১৯০৭ সালে অর্থনীতি বিষয়ে কৃতিত্বের সাথে স্নাতকোত্তর পাশ করেন।
রাজেন্দ্র প্রসাদ বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকতার কাজ করেছেন। বিহারের মুজাফফরপুরের লংগত সিং কলেজে ইংরেজির অধ্যাপক হিসেবে প্রথমে নিযুক্ত কয়ে প্রিন্সিপাল হন। আইন পড়ার উদ্দেশ্যে এই চাকরি ছেড়ে তিনি কলকাতা আসেন ও ১৯০৯ সালে রিপন কলেজে (অধুনা সুরেন্দ্রনাথ আইন কলেজ) ভর্তি হন। তিনি কলকাতার সিটি কলেজে অর্থনীতির অধ্যাপনাও করেন কিছুকাল। রাজেন্দ্র প্রসাদ ১৯১৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আইনের স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় স্বর্ণপদক সহ পাশ করেছিলেন। ১৯৩৭ সালে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় হতে পি এইচ ডি ডিগ্রী প্রাপ্ত হন।
১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে আইনজীবী হিসেবে ওডিশা ও বিহার হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন। তিনি কিছুকাল ভাগলপুর আদালত ও কলকাতা উচ্চ আদালতেও কাজ করেছেন।
ছাত্রাবস্থায়, ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার বার্ষিক সভায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তার রাজনীতিতে প্রবেশ। ১৯১১ সালে কংগ্রেসের সদস্য ১৯১৬ সালে লখনৌতে মহাত্মা গান্ধীর সংস্পর্শে এসে চম্পারনে তথ্যনুসন্ধানে যান। এই কাজে সাহসিকতা ও কৃতিত্বের পরিচয় দেন। অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে আইন পেশা পরিত্যাগ করেন ও সবসময়ের জন্যে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.