নয়াদিল্লি: করোনার কাঁটায় ছেদ পড়ল ঐতিহ্যপূর্ণ ‘বিটিং রিট্রিট’-এ। প্রজাতন্ত্র দিবসে ওয়াঘা-আটারি সীমান্তে এবার আর দেখা যাবে না ভারত-পাক সেনার বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠান৷

ফি বছর ২৬ জানুয়ারি ওয়াঘা-আটারি সীমান্তে দু’দেশের সেনার যৌথ কুচকাওয়াজ দেখতে দূর দূরান্ত থেকে ভিড় জামায় মানুষ৷ সীমান্তের দু’পাড়েই থাকে জোন স্রোত৷ এমনকী বিদেশিরাও আসেন বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠান দেখতে৷ তবে এবার করোনা সংক্রমণের জেরে হচ্ছে না অনুষ্ঠান৷ সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷

বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর এক সিনিয়র অফিসার জানিয়েছেন, ‘‘এই বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে আটারি সীমান্তে দু’দেশের যৌথ কুচকাওয়াজ হবে না৷ কোভিড বিধি মেনে এই বছর কাউকে আটারি সীমান্তে আসার অনুমতি দেওয়া হবে না৷ প্রতিদিনের মতো ২৬ তারিখেও ‘ফ্ল্যাগ লোয়ারিং’ করা হবে৷’’ প্রসঙ্গত, গত ৭ মার্চ থেকেই সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ রয়েছে ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত৷

১৯৫৯ সাল থেকে ওয়াঘা-আটারি সীমান্তের জয়েন্ট চেক পোস্ট-এ বিএসএফ এবং পাক রেঞ্জার্স যৌথ ভাবে ‘বিটিং রিট্রিট’ অনুষ্ঠিত পালন করে আসছে৷ গত বছরও আটারি-ওয়াঘা সীমান্তে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিটিং রিট্রিট৷ কিন্তু করোনার জেরে সীমান্ত ছিল দর্শক শূন্য৷ এবার দীর্ঘ দিনের সেই ঐতিহ্যে সম্পূর্ণ ছেদ পড়ল৷

একদিকে রয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের উত্তেজনা৷ তার উপর কোভিড৷ যার জেরে গত বছর স্বাধীনতা দিবস এবং দিওয়ালিতে মিষ্টি বিতরণও বন্ধ ছিল৷ সাধারণত স্বাধীনতা দিবস এবং দিওয়ালিতে সীমান্তে মিষ্টি বিতরণ করাটাই দস্তুর৷

বিটিং রিট্রিট না হলেও সেজে ওঠার অপেক্ষায় রাজধানীর রাজপথ৷ পরের সপ্তাহ থেকেই কুচকাওয়াজের জন্য সমস্ত কন্টিনজেন্ট ফুল ড্রেস রিহার্সাল শুরু করে দেবে৷ তবে করোনার জেরে অনুষ্ঠানে অনেক কিছুই কাটছাঁট করা হয়েছে৷ দর্শকের উপস্থিতিও থাকবে কম৷ এই প্রথম লালকেল্লার বদলে বিজয় চক থেকে কুচকাওয়াজ শুরু হয়ে ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে গিয়ে তা শেষ হয়ে যাবে৷ সেনাদের মুখেও থাকবে মাস্ক৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।