স্টাফ রিপোর্টার, হাওড়া : ‘হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান আমরা এখানে সবাই এক। আমরা বিজেপিকে এখানে ভাগ করতে দেব না। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই এখানে থাকবে। এই বাংলায় যারাই রয়েছেন একটা লোককেও আমরা এনআরসি’তে তাড়াতে দেবো না।’
রবিবার তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিলে যোগদান করে সভা মঞ্চ থেকে গেরুয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে এমনই মন্তব্য করেন সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়।
এদিন তিনি বলেন, “আজ থেকে ৫০ বছর আগে আমার পৈতা হয়েছে। আমি এখনো প্রতিদিন গায়ত্রী মন্ত্র জপ করি। শিবের মাথায় জল ঢালি। মা কালীর পুজো করি। দেবতার মন্ত্র জপ করি। যতক্ষণ না চণ্ডীপাঠ করি ততক্ষণ পর্যন্ত এক গ্লাস জলও আমি খাইনা। তাই বিজেপি আমাকে হিন্দু ধর্ম শিখিও না। রাতে বাড়ি ফেরার পরেও ঠাকুরের পুজো করে তারপর আমি খাবার খাই। আমাকে হিন্দু ধর্ম তোমাদের কাছে শিখতে হবে না। বিজেপি, আরএসএস বা কতিপয় কট্টর হিন্দুবাদীদের কাছে আমার হিন্দু ধর্ম শেখার দরকার নেই।”
রবিবার হাওড়ার জগৎবল্লভপুর কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে কৃষক বিরোধী কৃষিবিল এবং কেন্দ্রীয় জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বিজেপির এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এই কথায় বলেন।
এদিকে রবিবার হাওড়ায় তৃণমূলের মিছিল ঘিরে ফের রাজনৈতিক জল্পনা চরমে উঠেছে। এদিন হাওড়ায় তৃণমূলের বড়সড় প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা ছিল। যদিও সেই মিছিলে দেখা মেলেনি লক্ষীরতন শুক্লা কিংবা বৈশালী ডালমিয়াদের।
গত কয়েকমাস ধরে একাধিক তৃণমূল নেতার গলায় অচেনা সুর দেখা শোনা গিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন মন্ত্রী লক্ষীরতন শুক্লা ও বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। আর রবিবারের মিছিলে এদের তিনজনের মধ্যে কারও দেখা না মেলায়। স্বাভাবিকভাবেই হাওড়ায় তৃণমূল নিয়ে জল্পনা বাড়ল আরও এক ধাপ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.