স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: নারদ মামলায় অভিযুক্ত বিধায়কদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের জন্য সিবিআইকে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে দ্রুত অনুমতির চেয়ে আবেদন জানানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের। প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণানের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয় । মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ জানুয়ারি।
প্রসঙ্গত, নারদা মামলায় অভিযুক্তের তালিকায় আছেন বিধায়ক। এখন চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে বিধায়কের নাম থাকার ক্ষেত্রে স্পিকারের অনুমতির প্রয়োজন। তাই নারদা মামলায় দ্রুত চার্জশিট পেশের জন্য বিধানসভার স্পিকারের কাছে অনুমতির আর্জি দ্রুত জানাতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে অ্যাডিশনাল অ্যাডভোকেট জেনেরাল অভ্রতোষ মজুমদার বলেন, “এখনও পর্যন্ত বিধায়কদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের জন্য বিধানসভার স্পিকারের যে অনুমতি প্রয়োজন, সেই অনুমতির আবেদন করেনি সিবিআই ।” তবে সিবিআইয়ের তরফে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনেরাল ওয়াই জে দস্তুর বলেন, “সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই লোকসভার স্পিকারের কাছে অনুমতির আবেদন জানানো হয়েছে । কিন্তু সেই অনুমতি এখনও আসেনি ।” এরপরই মামলাকারীর তরফে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন , “এটা সিবিআইয়ের চূড়ান্ত গাফিলতি। গত এক বছর ধরে আমরা শুনে আসছি চার্জশিটের জন্য অনুমতির আবেদন করা হয়েছে , একটা অনুমতি পেতে কতদিন লাগে?”
স্পিকারের অনুমতি ছাড়াই নারদা মামলায় চার্জশিট পেশ করুক সিবিআই ৷ এমনই আরজি জানিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন অমিতাভ চক্রবর্তী নামে এক কংগ্রেস নেতা । অমিতাভবাবুর বক্তব্য, যেহেতু হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলায় তদন্ত চলছে, চার্জশিট পেশের জন্য স্পিকারের অনুমতির কি আদৌও প্রয়োজন আছে ? আদালত সিবিআইকে অবিলম্বে এই মামলার চার্জশিট পেশ করার নির্দেশ দিক। কারণ সিবিআই চাইলেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে পারে। এরপরই প্রধান বিচারপতি সিবিআইকে নির্দেশ দেন দ্রুত অনুমতির জন্য আবেদন করতে।
অন্যদিকে, নারদ মামলায় এদিন যুক্ত হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ এদিন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী আদালতে উল্লেখ করেন যে, বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির নির্দেশ আছে যে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। কিন্তু তারপরেও তাঁর নামে এফআইআর হচ্ছে! এর পাশাপাশি শুভেন্দুর আইনজীবী আরও বলেন যে, সেক্ষত্রে এই মামলায় অংশ নিতে চান তিনি। যদিও সেই অনুমতি দেয়নি আদালত।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.