লখনউ: বার্ড ফ্লু নিয়ে আতঙ্কের মাঝেই পোলট্রি প্রোডাক্টের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল উত্তরপ্রদেশ সরকার৷ বার্ড ফ্লু আতঙ্কের জেরে চলতি মাসের গোড়ায় মুরগির ডিম ও মাংসে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল৷ দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ সহ আটটি রাজ্যে হানা দিয়েছিল বার্ড ফ্লু৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মৃত্যু হয়েছিল বিপুল সংখ্যক পাখির৷
মঙ্গলবার পোলট্রি প্রোডাক্টের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় উত্তর প্রদেশের পশুপালন বিভাগ৷ সরকারি নির্দেশিকায় জনগণকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, যে কোনও মাংস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় অন্তত তিন সেকেন্ড রান্না করতে হবে৷ তাহলে আর বিপদের সম্ভাবনা থাকবে না৷ একই ভাবে ডিম সেদ্ধ করলেও কোনও ভয় নেই৷
সরকারি নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কায় হাঁস-মুরগি পরিবহণ নিষিদ্ধ করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়৷ এই নিষেধাজ্ঞা কেবলমাত্র আক্রান্ত এলাকার ১০ কিলোমিটার পর্যন্তই প্রযোজ্য৷ সেখানে আরও বলা হয়েছে, অ্যাভিয়ান (পাখি) ইনফ্লুয়েঞ্জা (ফ্লু) এক ধরনের ভাইরাস৷ এই ভাইরাস বন্য পাখিদের মধ্যে প্রাকৃতিক ভাবেই দেখা যায়৷ এই ভাইরাস হাঁস-মুরগি বা যে কোনও প্রাণীর মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে৷ একটি মুরগি থেকে অন্য মুরগি বা যে কোনও প্রাণীর মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ বহু পাখি বার্ড ফ্লুতে মারা যায়৷ এমনকী পাখি থেকে এই ভাইরাস মানব দেহেও সংক্রমিত হতে পারে৷ সাধারণত এভিয়ান ফ্লু মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয় না৷
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২,৮০০টির বেশি সোয়াব এবং কমপক্ষে ১,০১৪টি সিরাম নমুনা সহ ৪৩টি মৃত পাখির অবশিষ্টাংশ রাজ্য থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল৷ পরীক্ষার জন্য তা পাঠানো হয়৷ এর মধ্যে ১১টি নমুনা বার্ড ফ্লু-র সংক্রমণ ধরা পড়েছে৷ যা ০.৫৪ শতাংশ৷
বার্ড ফ্লু সাধারণত মানব শরীরে হানা না দিলেও কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে৷ বার্ড ফ্লুর লক্ষণ কি? বার্ড ফ্লুর প্রধান লক্ষণ হল জ্বর, সর্দি-কাশি, মাথ যন্ত্রণা৷ সেই সঙ্গে গলা ফোলা, মাংস পেশিতে ব্যাথা, পেটের সমস্যা, চোখে ইনফেকশন এবং পেটের সমস্যা দেখা দেয়৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.