নয়াদিল্লি: হোয়াটসঅ্যাপের সিইও উইল ক্যাথকার্টকে চিঠি লিখল ভারত সরকারের বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক৷ ফেসবুকের এই ম্যাসেনজিং অ্যাপ সংস্থা শুধু ভারতীয়দের জন্য তার নিরাপত্তা নিয়ে যে পলিসি প্রস্তাব করেছে তা তুলে নেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে ভারত সরকার৷

জানা গিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ সম্প্রতি তাদের প্রাইভেসি পলিসিতে যে পরিবর্তন এনেছে সেই সংক্রান্ত কথাই বলা হয়েছে চিঠিতে৷ সূত্রের খবর চিঠিতে সিইওকে বলা হয়েছে গোপনীয়তা, তথ্য আদানপ্রদান ও পলিসি শেয়ারিং নিয়ে যে প্রশ্নগুলি চিঠিতে করা হয়েছে তার যেন উত্তর দেওয়া হয়৷

মন্ত্রকের তরফে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত৷ কারণ নতুন পলিসিতে হোয়াটসঅ্যাপ প্রস্তাব দিয়েছে যে বিজনেস অ্যাকাউন্ট সহ ব্যবহারকারীদের তথ্য অন্যান্য ফেসবুক কোম্পানিগুলোর সঙ্গে শেয়ার করা হবে৷ ফেসবুক গ্রুপ ব্যবহারকারীদের জন্য এটি তো মধুর হাঁড়ি মতো৷

এর সাহায্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি বাড়বে৷

ব্যবহারকারীদের জন্য তা মোটেই সুখকর হবে না৷ সরকার হোয়াটসঅ্যাপকে সুপ্রিম কোর্ট পুত্তাস্বমী ভর্সেস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া (২০১৭) রায়দানে নিরাপত্তার আদর্শ ও মনোনিবেশের কথা বলে৷ দেশের সংসদ যখন পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল নিয়ে বিবেচনা করছে তখন কেন হোয়াটসঅ্যাপ এমন পরিসবর্তনের সিদ্ধান্ত নিল তা নিয়েও সংস্থাকে জিজ্ঞাসা করেছে মন্ত্রক৷

এই পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল সংসদের দুই পক্ষের জয়েন্ট সিলেক্ট কমিটির বিবেচনার জন্য এগিয়ে রয়েছে৷ ‘পারপাস লিমিটেশন’-এর নীতি মেনেই এটি তৈরি করা হয়েছে৷ ‘পারপাস লিমিটেশন’-এর অর্থ ব্যবহারকারীদের তথ্য বিশেষ কোনও কারণে কোম্পানি ব্যবহার করতে পারবে৷

বিলটি আইনে পরিণত হল হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষে সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে৷ ভারতীয় ও ইউরোপীয়দের জন্য ভিন্ন নীতি নিয়েও হোয়াটসঅ্যাপকে প্রশ্ন করেছে মন্ত্রক৷ বলা হয়েছে, গোটা বিশ্বের মধ্যে ভারতে সবচেয়ে বেশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা হয়৷

গ্রাহকদের সঙ্গে এমন বিভেদমূলক আচরণ করলে ভারতীয় গ্রাহকরা হোয়াটসঅ্যাপের উপর থেকে আস্থা হারাতে পারে৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এও মনে করিয়ে দিয়েছে যে ভারতীয় নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষা করার সার্বভৌম অধিকার রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের৷ কোনওভাবেই যেন তার অন্যথা না হয়৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।