মেদিনীপুর: কী গো কেমন আছ? ভালো তো ? শান্ত স্বরে সুশান্ত ঘোষের ডাক শুনে এগিয়ে এসেই প্রণাম। জোরজবরদস্তি করেও প্রণাম এড়ানো গেল না। শুরু হলো প্রণামের হিড়িক। কুশল বিনিময়। রাজ্য জুড়ে মমতা শুভেন্দু লড়াইয়ের গরম বার্তার মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ‘দাপুটে’ সিপিআইএম নেতা সুশান্ত ঘোষের নিজস্ব রীতির জনসংযোগ ঘিরে চিন্তিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল ও বিজেপি শিবির।
বাম জমানার ৩৪ বছরের মধ্যে ৩২ বছর বিধায়ক ছিলেন। গড়বেতা সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের মাটির সেন্টিমেন্ট তাঁর কাছে অজানা নয়, তাও স্বীকার করছেন তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি নেতারা।
সিপিআইএমের তরফে জঙ্গলমহলের দুটি জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম যেমন দায়িত্বে তেমনই আছে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার একাংশের দেখভাল।
সবমিলে প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের জনসংযোগ কর্মসূচিতে সাড়া পড়ছে। এমনই ছবি হচ্ছে ভাইরাল। শীত পড়েছে জাঁকিয়ে। আর সুশান্ত ঘোষ শীতের আবহে কোনও গ্রামীণ মেলা বাদ দিচ্ছেন না। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ঢুকছেন। তিনি গ্রামে গ্রামে ঢুকতেই ছড়িয়ে পড়ছে ‘সুশান্ত ঘোষ এসেছে গো…’।
তারপরেই শুরু প্রণাম হিড়িক। ২০১১ সালের রাজ্যে বাম সরকারের টানা তিন দশকের ক্ষমতা ভেঙে যায়। সুশান্ত ঘোষ তখনও ভোট মেশিনে দাপট ধরে রাখেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে বেনাচাপড়ায় কঙ্কাল কাণ্ড অভিযোগ তোলে তৃণমূল সরকার।
তবে সেই অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। সুশান্ত ঘোষ জেল খাটেন। আইনি প্রক্রিয়ায় জামিন পেয়ে এখন তিনি টানা দশ বছর পর জেলায় প্রবেশের অনুমতি পেয়েছেন। গত বছর ডিসেম্বর মাসে সুশান্ত ঘোষের প্রত্যাবর্তন ঘিরে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা টাউন সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের জমায়েত ছিল লক্ষনীয়।
সেই প্রত্যাবর্তন মঞ্চ থেকে সরকারকে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সুশান্ত ঘোষ। তারপর গত একমাস ব্যাপী তিনি নিবিড় জনসংযোগ চালাচ্ছেন। সুশান্ত বাবু ফিরছেন এই বার্তায় বামেদের ডাকা বনধ ও কৃষি আইনের বিরোধিতায় ডাকা বনধের প্রভাব পড়ে।
এদিকে জেলায় ফিরে বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে সুশান্তবাবুর গ্রাম ঘোরা নিয়ে চলছে তুমুল চর্চা। সুশান্ত ঘোষ এফেক্ট? এটি এখন পশ্চিম মেদিনীপুর সহ জঙ্গলমহল এলাকার রাজনৈতিক শব্দ। সরকারে থাকা তৃণমূল কংগ্রেস এবং গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বৃহত্তম বিরোধী দল হওয়া বিজেপি নেতৃত্ব প্রকারন্তরে সেটাই মনে করছেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.