বাংলায় আরও ১৪ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া! করোনা টিকা নিয়ে বমি-কাঁপুনি, হাসপাতালে ভর্তি ৩
প্রথমদিন ভ্যাকসিন নেওয়ার পর রাজ্যের ১৪ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে ভরতি করা হলেও, বাকি ১৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়৷ দ্বিতীয় দিনে রাজ্যে আরও ১৪ জনের শরীরে দেখা দেয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাঁদের মধ্যে দুইজনকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে রাজ্যে ৩ জন ভরতি রয়েছেন হাসপাতালে। তবে, তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া দুই জনই মহিলা
আপৎকালীন পরিস্থিতির কারণে ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিনেশন। প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হচ্ছে এই ভ্যাকসিন। গতকাল ছিল ভ্যাকসিনেশনের দ্বিতীয় দিন। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ১৪ জনের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে, তাঁদের মধ্যে দুই জনকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। দু'জনই মহিলা৷ একজনের বয়স ৩৪, অন্যজন ৪৬৷

কাঁপুনি ও বমির উপসর্গ নিয়ে হাসপাতলে ভর্তি
জানা যায়, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর প্রথম জনের কাঁপুনি শুরু হয়৷ তিনি বমি করা শুরু করেন৷ তাঁকে ভরতি করা হয় ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। অন্যজনের জনেরও বমি ভাব দেখা দেয়, সঙ্গে শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা৷ তাঁকে ভরতি করা হয়েছে ফালাকাটা মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। বর্তমানে দু'জনই হাসপাতালের পর্যবেক্ষণে রয়েছন৷

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রথম নার্স এখন কেমন আছেন?
এদিকে প্রথমদিন ভ্যাকসিন নেওয়ার পর যে মহিলার শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল তিনি ভর্তি রয়েছেন কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। তিনি ভালো আছেন৷ তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে সেই অনুযায়ী এই রাজ্যে এই হার প্রথম দিন ছিল এক হাজার জনের মধ্যে একজনেরও কম।

করোনা ভ্যাকসিনেশনের হার কমেছে
এদিকে প্রথম দিনে রাজ্যে করোনা ভ্যাকসিনেশনের হার ছিল ৭৫.৯ শতাংশ। দ্বিতীয় দিনে এই হার নেমে আসে ৬৮ শতাংশে। কলকাতায় প্রথম দিনে ভ্যাকসিনেশনের হার ছিল ৯২ শতাংশ, আর দ্বিতীয় দিনে এই হার নেমে আসে ৭২ শতাংশে। করোনা ভ্যাকসিনেশনের ভবিষ্যৎ নিয়েও রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একাংশের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে।

বাংলায় ২০৭টি সেন্টারে টিকাকরণ
গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে শুরু হয় করোনার ভ্যাকসিনেশন। দুটি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে এ দেশে। কোনও রাজ্যে দেওয়া হচ্ছে কোভিশিল্ড, কোনও রাজ্যে দেওয়া হচ্ছে কোভ্যাকসিন। এ রাজ্যে দেওয়া হচ্ছে কোভিশিল্ড। রাজ্যের ২০৭টি সেন্টারের মধ্যে কলকাতায় রয়েছে ১৯টি সেন্টার। এর মধ্যে কলকাতার চারটি বেসরকারি হাসপাতালও রয়েছে। সপ্তাহে চারদিন ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নেওয়া হয়েছে প্রতিদিন ১০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা। অর্থাৎ, এ রাজ্যে যেদিন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, সেদিন মোট ২০,৭০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা।