কলকাতা : বিষয় একই, কিন্তু দুই পতাকা উত্তোলনের অর্থ আলাদা। পাড়ায় পাড়ায় প্রজাগণ মাতবে ২৬-এর আনন্দে। যে যেখানে পারবে একটা করে পতাকা উড়িয়ে দেবে কিন্তু নজরে রাখবেন ঠিকভাবে নিয়ম মেনে ২৬ জানুয়ারি পতাকা উত্তোলন হচ্ছে তো? কারণ কিছু নিয়ম আছে কিছু বিশেষ অর্থও রয়েছে।

১৫ অগস্টে যেখানে আগে পতাকা দড়ি দিয়ে টেনে তুলে তারপর ওড়ানো হয়, ২৬ জানুয়ারি একটু অন্যরকম ঘটনা ঘটে। যা গণতান্ত্রিক দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার বার্তা দেয়।

২৬ ও ১৫ অগস্ট দুই দিনই পতাকা উত্তোলন করতে দেখা যায়, কিন্তু এই দুই দিনের পতাকা উত্তোলনে সূক্ষ্ম তফাৎ রয়েছে। ইংরেজিতে বলা হয় স্বাধীনতা দিবসে ‘flag hoisting and unfurling’ এবং প্রজাতন্ত্র দিবসে ‘flag unfurling’ করা হয় ।

স্বাধীনতা দিবসে পতাকা দণ্ডটির নিচের দিকে মোড়ানো অবস্থায় বাঁধা থাকে তা প্রথমে ‘hoist’ অর্থাৎ উত্তোলন করা হয় তারপর ওই মোড়ানো অবস্থায় থাকা পতাকাটিকে ‘unfurl’ করা হয়।

আর প্রজাতন্ত্র দিবসে পতাকাটি ‘hoist’ করা হয় না, সেটি ওপরেই বাঁধা থাকে এবং তা শুধুই ‘unfurl’ করা হয়। (অর্থাৎ মোড়ানো অবস্থা থেকে খোলা হয়)।

অর্থাৎ পরাধীন অবস্থা থেকে স্বাধীনতা প্রাপ্তি প্রতীক হিসাবে ‘flag hoisting’ করা হয় আর প্রজাতন্ত্র দিবসে যেহেতু ইতোমধ্যেই দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে তাই শুধু পতাকা ‘unfurl’ করা হয়।

এবার নজর রাখুন ভালো করে। না হলে সামনে গিয়ে ‘কারেকশন’ করে দেবেন। গণতন্ত্র বলে কথা। সেখানে ভুল সামনে দেখেও সহ্য! নৈব নৈব চ।

প্রসঙ্গত, প্রত্যেক বছর প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দেশের রাজধানী নয়াদিল্লিতে কুচকাওয়াজ হয়। রাষ্ট্রপতির আবাসস্থল রাষ্ট্রপতি ভবনের নিকটবর্তী রাইসিনা হিল থেকে রাজপথ বরাবর ইন্ডিয়া গেট থেকে সেই কুচকাওয়াজ শুরু হয়।

কুচকাওয়াজ আরম্ভ হওয়ার আগে রাষ্ট্রপতি রাজপথের একপ্রান্তে অবস্থিত ইন্ডিয়া গেটে শহিদ সৈন্যদের উদ্দেশ্যে নির্মিত স্মারক অমর জওয়ান জ্যোতিতে একটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর ওই সৈন্যদের উদ্দেশ্যে ২ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

স্বাধীনতা আন্দোলন ও তার পরবর্তী যুদ্ধগুলিতে ভারতের সার্নিবভৌমত্ব রক্ষায় শহিদ সৈন্যদের প্রতি এইভাবে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মিলিত হন এবং প্রধান অতিথির সঙ্গে রাজপথে অবস্থিত অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে আসেন। রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষকরা ঘোড়ার পিঠে করে তাদের পথ প্রদর্শন করেন।

বিটিং রিট্রিট এর মাধ্যমে সাধারণতন্ত্র দিবস উজ্জাপনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি সূচিত হয়। সাধারণতন্ত্র দিবসের ৩ দিন পর, ২৯ জানুয়ারি সন্ধ্যেবেলা বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠিত হয়।

ভারতের সামরিক বাহিনীর তিন প্রধান শাখা ভারতীয় স্থলসেনা, ভারতীয় নৌবাহিনী এবং ভারতীয় বায়ুসেনা এই রিট্রিটে অংশ নেয়। রাজপথের প্রান্তে ভারতের কেন্দ্রীয় সচিবালয় ও রাষ্ট্রপতি ভবনের নর্থ ব্লক ও সাউথ ব্লক ভবন দু’টির মধ্যবর্তী রাইসিনা হিল ও বিজয় চকে এই অনুষ্ঠানটি হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি, যিনি অশ্বারোহী ‘পিবিজি’ (প্রেসিডেন্টস বডিগার্ডস/ রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষক) কর্তৃক পথপ্রদর্শিত হয়ে আসেন। তিনি উপস্থিত হলে পিবিজির অধিনায়ক তার বাহিনীকে জাতীয় অভিবাদনের (স্যালুট) নির্দেশ দেন।

এর পর সামরিক বাহিনী কর্তৃক ভারতের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। এই সঙ্গীতের পাশাপাশি সম্মিলিত স্থল, জল ও বায়ুসেনার বিভিন্ন ব্যান্ড, পাইপ, ভেরী প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্রের কুশলীরা অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে সারে জাঁহা সে আচ্ছা প্রভৃতি দেশাত্মবোধক গানের আয়োজনও করেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।