'পরাক্রম বনাম দেশপ্রেম', নেতাজির জন্মদিন নিয়ে কেন্দ্রের ঘোষণা নিয়ে কী বলছেন চন্দ্র-সুগতরা?
২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন 'পরাক্রম দিবস' হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই নিয়ে চন্দ্র কুমার বসু বলেন, 'বহু বছর ধরে ভারতের মানুষ ২৩ জানুয়ারি দেশপ্রেম হিসেবে পালন করেছে৷ নেতাজিকে একসময় 'প্যাট্রিয়ট অফ প্যাট্রিয়ট' হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী৷ তাই দিনটি 'দেশপ্রেম দিবস' হিসেবে ঘোষণা করা হলে আরও প্রাসঙ্গিক হত৷ কিন্তু বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি৷'

কী বললেন সুগত বসু?
এদিকে এপ্রসঙ্গে এদিন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পরিবারের অপর এক সদস্য সুগত বসু বলেন, 'এটা কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত। তবে নেতাজির মতো সাহসী নেতা বিশ্বে খুঁজে পাওয়া কঠিন। এদিকে নেতাজি চেয়েছিলেন ঐক্য ও সাম্য। তিনি সমান নাগরিকত্বে বিশ্বাস করতেন। আমার মনে হয় সেদিকটাও মনে রাখা উচিত সবার। তিনি যে শুধু যোদ্ধা ছিলেন এমনটা কিন্তু নয়।'

পথে নামবে ফরওয়ার্ড ব্লক
অপরদিকে নেতাজির জন্মদিন কেন 'দেশপ্রেম দিবস' নয়? এই প্রশ্ন তুলে ২৩ জানুয়ারি পথে নামবে ফরওয়ার্ড ব্লক। ফরওয়ার্ড ব্লকের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত বিশ্বাস কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন৷ তাঁর দাবি, দেশপ্রেম শব্দটির মধ্য দিয়ে যে একাত্মতা, ত্যাগের কথা তুলে ধরা যায়, তা পরাক্রম দিবসের মধ্য দিয়ে আসে না৷ নেতাজির জন্মদিন কেন দেশপ্রেম দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হবে না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি৷

নেতাজির জন্মদিনটিকে পরাক্রম দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত
উল্লেখ্য, এদিন সংস্কৃতি মন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারি নিরুপমা কোটরু এক বিবৃতিতে জানান, ১২৫তম জন্মদিনে দেশের প্রতি নেতাজির অতুলনীয় অবদানের কথা স্মরণ করবে দেশবাসী। তাঁর নিস্বার্থ দেশসেবা ও অদম্য উৎসাহকে স্মান জানাতে কেন্দ্রীয় সরকারও প্রতি বছর ২৩ জানুয়ারি দিনটিকে পরাক্রম দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কেন্দ্রের বিশেষ কমিটি
এর আগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিন পালনের জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই কমিটির মাথায় থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৮৫ জনের ওই কমিটিতে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মিঠুন চক্রবর্তী সহ ৩০ জন বিশিষ্ট বাঙালিও।