বেঙ্গালুরু: ব্রেন স্টোকের কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হলেন ভগবৎ চন্দ্রশেখর। বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন কিংবদন্তি এই লেগ-স্পিনার। এখন অনেকটাই ভালো রয়েছেন বলে তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে৷ তাঁকে বুধবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্ত্রী সন্ধ্যা চন্দ্রশেখর৷

শুক্রবার ক্লান্তিু ও দুর্বলতার কারণে অসুস্থবোধ করেন ৭৫ বছর প্রাক্তন ভারতীয় স্পিনার৷ তারপর তাঁকে বেঙ্গালুরুর এক বেসরকারি হাসপাতালে চন্দ্রশেখরকে ভর্তি করা হয়৷ আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে৷ কর্নাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়, ‘১৫ জানুয়ারি অসুস্থবোধ করায় শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চন্দ্রশেখরকে ভর্তি করা হয়৷ তাঁর মৃদু স্টোক হয়৷ তবে এখন প্রাক্তন এই ক্রিকেটারের অবস্থা স্থিতিশীল৷ আগামী দু-এক দিনের মধ্যে হাসতাপাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে৷ আইসিসিইউ-তে থাকলেও সোমবার সকালে প্রাক্তন এই ক্রিকেটারকে জেনারেল বেডে স্থানান্তরিত করা হয়৷

বয়সের কারণে গত কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন চন্দ্রশেখর। শুক্রবার তাঁর কথাও জড়িয়ে যায়। ফলে তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার কিংবদন্তি এই লেগ-স্পিনারের স্ত্রী সন্ধ্যা চন্দ্রশেখর পিটিআই-কে জানিয়েছেন, মৃদু স্টোক হয়েছিল৷ এখন অনেকটাই ভালো রয়েছেন৷ আশাকরি, বুধ অথবা বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরবেন৷

তিনি বলেন, ‘বয়সের কারণে গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। শরীরে ক্লান্তিভাব ছিল। তাছাড়া শুক্রবার সন্ধেবেলা ওঁর কথাবার্তা জড়িয়ে যায়। তাই হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নিলাম। ওঁর মাথায় কিছু ব্লকেজ ধরা পড়েছে। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই। ডাক্তারদের মতে বয়স বাড়লে এই সমস্যাগুলো প্রকট হয়। তবে এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল৷’

১৬ বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ৫৮টি টেস্টে ২৪২টি উইকেট নিয়েছেন চন্দ্রশেখর৷ টেস্টে ইনিংসে ১৬ বার পাঁচ ও তার বেশি উইকেট নিয়েছেন৷ ১৯৬৪ সালে মুম্বইয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তাঁর৷ আর শেষ টেস্ট খেলেছেন বার্মিংহ্যামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৯৭৯ সালে৷ দেশের হয়ে একটি মাত্র ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৯৭৬ সালে৷ ওই ম্যাচে ৩৬ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছিলেন ভারতীয় এই লেগ-স্পিনার৷

ছয় ও সাতের দশকে বিষেণ সিংহ বেদী, এরাপল্লি প্রসন্ন, এস ভেঙ্কটরাঘবন ও চন্দ্রশেখর ভারতের এই ‘ফোর ফ্যাব’ স্পিন আক্রমণের সামনে বিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা নাস্তানাবুদ হতেন৷ কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারকে ১৯৭২ সালে অর্জুন ও পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানীত করা হয়৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনাকালে বিনোদন দুনিয়ায় কী পরিবর্তন? জানাচ্ছেন, চলচ্চিত্র সমালোচক রত্নোত্তমা সেনগুপ্ত I