‘কীভাবে বাড়িতে করোনা ভ্যাকসিন তৈরি হয়’, ভারতীয়দের এই প্রশ্নই এখন ট্রেন্ড গুগলে
১৬ জানুয়ারি অর্থাৎ শনিবার থেকেই ভারতে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রথম করোনা ভাইরাসের টিকাদান প্রক্রিয়া। বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ ভ্যাকসিন ড্রাইভ ভারতে শুরু হওয়ায় অনেকটাই স্বস্তি মিলেছে দেশবাসীর, ৩০ কোটি উচ্চ–ঝুঁকিসম্পন্ন মানুষ করোন ভ্যাকসিনের টিকা নেবেন বলে জানা গিয়েছে। শনিবারের প্রথম ভ্যাকসিনের কার্যকলাপ শুরু হয় স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাদানের মধ্য দিয়ে। সরকারিভাবে জানা গিয়েছে, ১ কোটি স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রথম ভ্যাকসিনের টিকা দেওয়া হবে, এরপর ২ কোটি সামনের সারির কর্মী ও ৫০ বছর বা তার ঊর্ধ্বে এবং একাধিক রোগ রয়েছে এমন ২৭ কোটি নাগরিককে টিকা দেওয়া হবে।

কীভাবে বাড়িতে করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন তৈরি করব
দিল্লি এইমসের সামনের সারির কর্মী মনীশ কুমার দেশের প্রথম ব্যক্তি যিনি করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের টিকা নিয়েছেন। একদিকে যখন দেশবাসী করোনা ভাইরাসের বিপক্ষে লড়ার জন্য মূল মাইলস্টোনকে স্বাগত জানিয়েছেন, অপরদিকে অনেকেই রয়েছেন যাঁরা গুগলে সার্চ করে দেখছেন কীভাবে বাড়িতে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করা যায়। সোমবার ও রবিবার সকালে গুগল ট্রেন্ড অনুযায়ী শীর্ষ ট্রেন্ডিং খোঁজে ছিল, ‘কীভাবে বাড়িতে করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন তৈরি করব?' আর গুগলের উত্তর ছিল, ‘না, আপনি বাড়িতে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারবেন না।'

ভ্যাকসিন বাড়িতে তৈরি সম্ভব নয়
ভারতে দু'টি করোনা ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের আগে তাদের কয়েকমাস ধরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলেছিল। তাই এটা স্পষ্ট যে কেউ এই ভ্যাকসিন বাড়িতে প্রস্তুত করতে পারবে না। তবে এটাই প্রথম নয়, যেখানে ভারতীয়রা বাড়িতে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির জন্য গুগলে খোঁজ করছেন। ২০২০ সালের জুলাই মাসে, যখন করোনা ভাইরাসের মহামারি ভারতে একদম তুঙ্গে ছিল, তখনও ভারতীয়রা গুগলের কাছে করোনা ভ্যাকসিন তৈরির পদ্ধতি জানতে চেয়েছিল গুগলের কাছে। তবে বাড়িতে ভ্যাকসিন তৈরির কোনও উপায় নেই।

দুই ভ্যাকসিন
ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের অনুমদোন দিয়েছে কেন্দ্র। কোভিশিল্ডের বিষয়ে সিরাম জানিয়েছে যে এই ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজ ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কার্যকারিতা দেখাবে করোনা বিরুদ্ধে। এই ভ্যাকসিনটি ভারতের জন্য অন্যতম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভ্যাকসিন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে এর দাম এবং লজিস্টিক একটি বড় ভূমিকা পালন করে। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিনও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে যথেষ্ট দক্ষ। ২টি ভ্যাকসিন তৈরি করতে বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া ও তাপমাত্রার যথাযথ ব্যবহারেই লেগেছে এবং তা দীর্ঘকালিন পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে খোঁজ গুগলে
ভ্যাকসিন তৈরির পদ্ধতির পাশাপাশি ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও দেশবাসী গুগলে সার্চ করছেন। এটা শীর্ষ ট্রেন্ডিং তালিকায় রয়েছে। এখনও পর্যন্ত দেশজুড়ে ২,২৪,৩০১ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৪৪৭ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে এবং এর মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়েছে।
রাজ্য রাজনীতির ভারসম্য বদল, 'হার নিশ্চিত জেনেই নন্দীগ্রামে আশ্রয় নিচ্ছেন মমতা?'