করোনা ভ্যাকসিনের 'বিরূপ প্রভাব'-এর ক্ষতিপূরণ দেবে কে? কোন পদক্ষেপ সংস্থাগুলির?
করোনা টিকা থেকে কারোর শরীরে বিরূপ প্রভাব পড়লে তার দায়িত্বভার নিতে হবে টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাকে। এমনই ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এরপরই টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি নিজেদের ব্যবসায়িক ঝুঁকি কমাতে দ্বারস্থ হয়েছে বীমা কোম্পানিগুলির কাছে। এবং ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলাকালীন এই বীমা প্রযোজ্য থাকবে। উল্লেখ্য, টিকার উপর আস্থা রাখতে পারছেন না অনেকেই। এদিকে এদিনই করোনা টিকা নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এহেন ঘটনার প্রেক্ষিতে টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থার উপর আস্থা হারাতে পারেন লোকে। এমনকি ক্ষতিপূরণও দাবি করা হতে পারে।

ভ্যাকসিন নিয়ে মৃত্যু
এদিন জানা যায় যে করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মারা গেলেন এক সরকারি হাসপাতালের কর্মী৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে৷ রবিবার সন্ধ্যায় ৪৬ বছরের ওই কর্মীর মৃত্যু হয়৷ মৃতের নাম মাহিপাল সিং৷ যদিও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, এই মৃত্যুর সঙ্গে ভ্যাকসিন নেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই৷

কী ঘটেছিল?
মোরাদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এমসি গর্গ জানিয়েছেন যে মাহিপাল সিং শনিবার দুপুরে ভ্যাকসিন নেন৷ রবিবার তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং বুকে ব্যথা অনুভব করেন৷ তাই মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার অপেক্ষা করা হচ্ছে৷ তবে তাঁর বক্তব্য, এর জন্য কোরোনার ভ্যাকসিনের উপর দোষ চাপানো ঠিক নয়৷ কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন যে ওই ব্যক্তি শনিবার রাতে কাজ করেছেন৷ তখন কোনও সমস্যা ছিল না৷

ময়নাতদন্ত রিপোর্ট কী বলছে?
এদিকে উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে জানা গিয়েছে যে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে 'কার্ডিয়োজেনিক শক' এর কথা লেখা হয়েছে৷ আর সেটা কার্ডিও-পালমোনারি ডিজিজ-এর জন্য এটা হয়েছে বলে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে৷ মৃতের ছেলে জানিয়েছেন যে তাঁর বাবা হয়তো টিকা নেওয়ার আগে অসুস্থ থাকতে পারেন৷

মৃতের ছেলের দাবি
কিন্তু মৃতের ছেলের দাবি, টিকা নেওয়ার পরই তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ শনিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ তিনিই তাঁর বাবাকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন৷ তাঁর বাবার তখন থেকেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়৷ তার পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় বলে মাহিপাল সিংয়ের ছেলে জানিয়েছেন৷