নয়াদিল্লি: দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে করোনার টিকাকরণ৷ এবার কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করতে প্রতিবেশি দেশগুলিকে ভ্যাকসিন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল নয়াদিল্লি৷ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই কাজ শুরু করা হবে বলে সূত্রের খবর৷
নেপাল, মালদ্বীপ, বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, ভুটান এবং মরিশাসে সবার আগে ভ্যাকসিন পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে৷ ভারত থেকে টিকা পৌঁছনের পরই টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করবে তারা৷ প্রথম দফায় শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসাবেই ভ্যাকসিন পাঠানো হবে প্রতিবেশী দেশগুলিতে৷ পরবর্তী সময়ে তাদের ভারত বায়োটেক বা সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়াকে পেমেন্ট করে ভ্যাকসিন নিতে হবে৷
ইতিমধ্যেই ব্রাজিলের ফিয়োক্রুজ ইনস্টিটিউট পুনের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে একটি চুক্তি সাক্ষর করেছে৷ একই পথে এগোচ্ছে সংযুক্ত আরব আমীরশাহী, সৌদি আরব, মরক্কো এবং দক্ষিণ আফ্রিকা৷ বাংলাদেশ ও মায়ানমারও ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনের জন্য সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর করেছে বলে খবর৷ শ্রীলঙ্কাতেও ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছ নয়াদিল্লি৷
তবে এর জন্য পড়শি দেশ থেকে অতিরিক্ত চার্জ নেওয়া হবে না৷ ভারতীয় দামেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তাদের৷ ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য ড. ভিকে পলের নেতৃত্বাধীন গভর্নমেন্টস ন্যাশনাল গ্রুপ অফ ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর কোভিড-১৯ এর কাছ থেকে রফতানি ছাড়পত্র নিতে হবে প্রতিবেশী দেশগুলিকে৷
ভারতে গণটিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, ‘‘দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হলেই প্রতিবেশী দেশে কোভিড ভ্যাকসিন পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। কথা মতোই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে টিকা পৌঁছে দেবে ভারত।”
প্রসঙ্গত, সেরাম ইন্সটিটিউটের কাছে ৩ কোটি ভায়াল কোভিশিল্ড চেয়েছে বাংলাদেশ। ১ কোটি ২০ লক্ষ ভায়াল ভ্যাকসিন চেয়েছে নেপাল। জরুরি ভিত্তিতে ২০ লক্ষ টিকা চেয়েছে ব্রাজিল। ভ্যাকসিন চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.