নন্দীগ্রাম আন্দোলনে কাদের অবদান! শুভেন্দুকে 'বিশেষ' দলে রেখেই ব্যাখ্যা মমতার
শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে প্রথমবারের জন্য নন্দীগ্রামের (nandigram) সভায় যোগ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। সেই সভা থেকে তিনি নাম না করেই শুভেন্দু অধিকারীর (suvendu adhikari)সমালোচনা করলেন। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে লোভী ও ভোগীদের দলে ফেললেন।

আন্দোলন তৈরি হয়েছিল সিঙ্গুর থেকে
নন্দীগ্রাম-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের সভাগুলিতে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বারবার দাবি করেছেন, কীভাবে তিনি নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। যখন নির্দিষ্ট কোনও জায়গায় কেউ পৌঁছতে পারেননি, তিনি কীভাবে পৌঁছেছিলেন, তাও তিনি জানিয়েছিলেন। এদিন নন্দীগ্রামের সভা থেকে তারই জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে অবদানের কথা বলতে গিয়ে তিনি কোথাও শুভেন্দু অধিকারীর নাম করেননি। বলেছেন, আন্দোলন তৈরি হয়েছিল সিঙ্গুর থেকে। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে তিনি বলেছেন, বড়বড় কথা বলছেন অনেকে। নন্দীগ্রামে যেতে গিয়ে কোলাঘাটে তাঁর গাড়িতে পেট্রোল বোমা ছোঁড়া হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রাম যেতে গিয়ে রাতে তিনি বাধা পান। তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী ফোন করে তাঁকে ফিরতে বলেছিলেন বলেও মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের আন্দোলনে নিজের অবদানও যে অনেক তা উল্লেখ করতে ওই আন্দোলন নিয়ে লেখা তাঁর একাধিক বই-এর কথা উল্লেখ করেন।

নন্দীগ্রাম আন্দোলনে অবদান নিয়ে শুভেন্দুকে জবাব
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, আবু সুফিয়ান, তাহেররা এই আন্দোলনে সামিল হয়েছিল। কিন্তু কোথাও তিনি একবারের জন্য অধিকারী পরিবার কিংবা শুভেন্দু অধিকারীর নাম উল্লেখ করেননি। ২০০৭-এর কালী পুজোর সময় অপারেশন সূর্যোদয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেইদিন আবু সুফিয়ান, তাহেররা তাঁকে মোবাইলে বোমা, গুলির শব্দ শুনিয়েছিল।

তৃণমূলের প্রতিষ্ঠার সময়ে তোমরা ছিলে না
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অধিকারী পরিবারের কারও নাম উল্লেখ না করেই বলেন, তৃণমূলের প্রতিষ্ঠার সময় তোমরা ছিলে না। নন্দীগ্রামের সেই সময়ের ভোটে অখিল গিরি দ্বিতীয় হয়েছিলেন, সেই সময়েই তোমরা ছিলেন না, বলেছেন মমতা। অধিকারী পরিবারের সদস্যদের অন্যদলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেতেই পারো, সেটা তোমাদের স্বাধীনতা।

লোভী ও ভোগীদের দলে শুভেন্দু
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, তিন ধরনের লোক রয়েছে। একদল লোভী, একদল ভোগী আর একদল হল ত্যাগী। তিনি বলেন, হাজার মেরে ফেললেও ত্যাগীদের কোনও পরিবর্তন করা যায় না। ফলে এক্ষেত্রে নাম না করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত শুভেন্দু অধিকারীকে লোভী ও ভোগীদের সঙ্গে তুলনা করেন।

টাকা রক্ষা করতে বিজেপিতে
টাকা রক্ষা করতেই শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে। এদিন কার্যত এমনটাই মন্তব্য করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, টাকা রয়েছে ঢাকা। টাকা রক্ষার জন্য জায়গা চাই। তিনি বলেন, তৃণমূল করলে জেলে আর বিজেপি করলে ঘরে। এদিন তিনি বিজেপিকে ওয়াশিং পাউডার ভাজপা বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, বেঁচে থাকতে বাংলাকে বিক্রি হতে দেবেন না।
জিতেন্দ্রর জেলা কমিটি থেকে বাদ পড়ার পরই 'বেসুরো' টুইট! ফের জল্পনার পারদ চড়ল