ব্রিসবেন: দুর্দান্ত বোলিং টিম ইন্ডিয়ার৷ ২৯৪ রানে শেষ অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস৷ তবুও গাব্বায় ৩২৮ রানের টার্গেট ভারতের সামনে৷ কিন্তু গাব্বার বাইশ গজে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করে জয় মাত্র ২৩৬ রানে৷ টার্গেট কঠিন হলেও হাল-ছাড়তে নারাজ রাহানে অ্যান্ড কোং৷ ব্রিসবেন টেস্ট ড্র করলেই বর্ডার-গাভাস্কর ট্রফি ধরে রাখবে ভারত৷
সিডনিতে বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজ৷ ব্রিসবেনে সেই সব কটাক্ষের বল হাতে জবাব দিলেন টিম ইন্ডিয়ার এই ডানহাতি পেসার৷ দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে গাব্বায় ভারতকে লড়াইয়ে রাখলেন সিরাজ৷ টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করলেন ভারতীয় এই পেসার৷ মাত্র তৃতীয় টেস্টেই এই কৃতিত্ব ছুঁয়ে ফেললেন সিরাজ৷ সিডনিতে তৃতীয় টেস্টে তাঁকে ‘ব্রাউন ডগ’ বল কটাক্ষ করেছিলেন এসসিজি-র দর্শকরা৷
মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে অভিষেক হয় সিরাজের৷ অভিষেকেই বল হাতে নজর কেড়েছিলেন হায়দরাবাদের বছর ছাব্বিশের এই তরুণ৷ সিডনিতে দ্বিতীয় টেস্টে মাত্র দু’টি উইকেট পেয়েছিলেন৷ ব্রিসবেনে প্রথম ইনংসে একটি মাত্র উইকেট পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৩ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়ে ভারতকে লড়াইয়ে ফেরান সিরাজ৷ ৬১ রান খরচ করে চার উইকেট নিয়ে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন শার্দুল ঠাকুর৷ একটি উইকেট ওয়াশিংটন সুন্দরের৷
প্রথম ইনিংসে ৩৩ রানে এগিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়াকে দ্বিতীয় ইনিংসে তিনশোর গণ্ডি ছুঁতে দিলেন না ভারতীয় বোলাররা৷ বিনা উইকেটে ২১ রানে সোমবার খেলা শুরু করে দিনের শুরুটা দারুণ করেছিলেন দুই অজি ওপেনার ডেভিডা ওয়ার্নার ও মার্কাস হ্যারিস৷ কিন্তু সময় যত গড়ায় ম্যাচ আধিপত্য দেখান টিম ইন্ডিয়ার বোলাররা৷ স্টিভ স্মিথ ছাড়া কোনও অজি ব্যাটসম্যান হাফ-সেঞ্চুরি করতে পারেননি৷ অজি ইনিংসের সর্বোচ্চ রান স্মিথের ৫৫৷ বৃষ্টির জন্য এদিন বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল৷
ওপেনিং জুটিতে ৮৯ রানই অস্ট্রেলিয়া সেরা পার্টনারশিপ৷ ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন শার্দুল৷ ব্যক্তিগত ৩৮ রানে হ্যারিসকে ফেরান তিনি৷ ভারতের সামনে বড় রানের টার্গেট দিতে শুরু থেকেই এদিন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন ওয়ার্নার ও হ্যারিস৷ মাত্র ১১.২ ওভারেই পঞ্চাশ রানের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলে অজিবাহিনী৷ ৬৯ বলে ৫০ রান করে তারা৷
কিন্তু ড্রিঙ্ক ব্রেকের পরের ওভারেই ওয়ার্নারকে তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে জোর ধাক্কা দেন সুন্দর৷ ব্যক্তিগত ৪৮ রানে ওয়ার্নারকে এলবিডব্লিউ করেন ভারতীয় অফ-স্পিনার৷ এরপর মার্নাস ল্যাবুশানে ও স্টিভ স্মিথ তৃতীয় উইকেটে ৩২ রান যোগ করেন৷ কিন্তু সিরাজ দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে আক্রমণাত্মক ল্যাবুশানেকে ফেরান৷ প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরিকারী ল্যাবুশানে এদিন ২২ বলে পাঁচটি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৫ রানে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন৷
একই ওভারে ম্যাথু ওয়েডকে তুলে নিয়ে ভারতকে ম্যাচ ফেরোন সিরাজ৷ মাত্র ৩ বল খেলে শূন্য রানে উইকেটের পিছনে ঋষভ পন্তের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওয়েড৷ তারপর স্মিথ ও ক্যামেরন গ্রিন অজি ইনিংসের হাল ধরেন৷ চার উইকেটে ১৪৯ রান তুলে লাঞ্চে যায় অস্ট্রেলিয়া৷ কিন্তু লাঞ্চের পর স্মিথকে তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন সিরাজ৷ গ্রিনের সঙ্গে ৭৩ রান যোগ করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন প্রাক্তন অজি অধিনায়ক৷ তারপর গ্রিনকে ব্যক্তিগত ৩৭ রানে আউট করেন ঠাকুর৷ শেষে জোস হ্যাজেলউডকে তুলে নিয়ে অজি ইনিংসে সমাপ্তির পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবার ইনিংসে পাঁচ নেওয়ার স্বাদ পূরণ করেন সিরাজ৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.