কলকাতা: বিজেপির মিছিল লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি৷ অভিযোগের তীর তৃমমূলের দিকে৷ এই বিষয় শাসক দলের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের দাবি, বিজেপি কর্মীরা পাড়ায় ঢুকে মহিলাদের আহত করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ভেঙেছে।
সোমবার দক্ষিণ কলকাতায় দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারীর মিছিলে ইটবৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ৷ বিজেপি কর্মীদের দাবি, মিছিলে যারা ইট ছুঁড়েছে প্রত্যেকের হাতে তৃণমূলের পতাকা ছিল৷
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, বিজেপি কর্মীরা পাড়ায় ঢুকে মহিলাদের আহত করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ভেঙেছে৷ আসলে বিজেপি মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অন্য কিছু প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। ওদের মিছিলে লোক হয় না, মিছিলকে জনসমক্ষে নিয়ে আসতেই এই কাজ করেছে বিজেপি৷
তিনি আরও বলেন, এলাকার ছেলেরা তৃণমূলের পতাকা লাগাচ্ছিল। সেই সময় হঠাৎ করেই তাঁদের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীরাই প্রথমে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর৷ যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।
তাঁর পালটা দাবি, বাংলায় আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। জঙ্গলরাজ চলছে। আর সেটাই ফের একবার প্রমান করল।
শিয়রে বিধানসভা ভোট। রাজ্য-রাজনীতিতে টানটান উত্তেজনা। নির্বাচনী ময়দানে শাসক-বিরোধী কোনও পক্ষই কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও নারাজ। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর আজ সোমবারই প্রথম কলকাতার বুকে প্রথম হাইভোল্টেজ রোড শো শুভেন্দুর।
ফলে এই রোড শো ঘিরে একেবারে টানটান উত্তেজনা পরিস্থিতি ছিলই। শুভেন্দুর মিছিল চলাকালীন হঠাৎ করেই বিজেপির মিছিল লক্ষ্যে করে ইটবৃষ্টি করা হয়৷ তৃণমূলের পতাকা হাতে বেশ কয়েকজন কর্মী প্রথম ইট ছোঁড়ে মিছিল টার্গেট করে। এমনটাই অভিযোগ বিজেপির৷
অভিযোগ,মিছিল যে রাস্তা ধরে যাচ্ছিল তার ঠিক উপর সাইড থেকে একের পর এক ইট ছোঁড়া হয়। ইটের আঘাতে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত হয়।
এরপরেই কার্যত অগ্নিগর্ভ চেহারা নেয় গোটা এলাকা। পালটা বিজেপি কর্মীরাও ইট ছুঁড়তে শুরু করে। স্থানীয় বাড়িঘর টার্গেট করে ইট ছোঁড়া হয়, এমনটাই অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে।
ঘটনার সময়ে কোনও পুলিশকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। যদিও ঘটনার পর বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.