ভোপাল: মহিলাদের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রীর আপত্তিকর মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের রেশ কাটার আগেই ফের সমালোচনায় কংগ্রেস৷ এবার এক মহিলা অফিসারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল দলেরই এক বিধায়কের বিরুদ্ধে৷ গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়৷
এই ঘটনার ভিডিয়ো ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল৷ ওই ভিডিয়ো ক্লিপটিতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস বিধায়ক হর্ষ বিজয় গেহলট সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) কামিনী ঠাকুরের সঙ্গে আগ্রাসী মেজাজে কথা বলছেন৷
ওই ভিডিয়োতে হর্ষ বিজয়কে বলতে শোনা যায়, ‘‘আপনি একজন মহিলা৷ আপনি একজন পুরুষ হলে কলার ধরে আপনার হাতে মেমো ধরাতাম৷’’ রবিবার মধ্যপ্রদেশ-রাজস্থান সীমান্তে রতলাম জেলায় ঘটনাটি ঘটে৷ দিল্লি সীমান্তে কেন্দ্রের তিন নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো কৃষকদের সমর্থনে ট্রাক্টর ব়্যালি বার করেছিল কংগ্রেস৷
ওই ব়্যালির পর বিধায়কের নেতৃ্ত্বে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা এসডিএম-এর দফতরে স্মারকলিপি জমা দিতে যান৷ সেখানে যাওয়ার পরই গন্ডোগোলের সূত্রপাত৷ কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা এসডিএম দফতরে পৌঁছনোর পরই দফতর থেকে বেরিয়ে আসতে কিছুটা সময় নেন এসডিএম কামিনী৷ যার জেরে চটে যান কংগ্রেস বিধায়ক৷ তিনি আসার পর প্রকাশ্যে তাঁকে হুমকি দেন হর্ষ বিজয়৷
সেই সময় পিছনে চলছে কংগ্রেসের স্লোগান৷ হর্ষ বিজয় বলেন, আমি একজন জনপ্রতিনিধি, বিধায়ক৷ আপনি সেটা বুঝতেই চাইছেন না৷ আপনি একজন মহিলা বলে তাই৷ নাহলে কলার ধরে মেমো দিতাম৷’’
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই বিতর্ক উস্কে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী সজ্জন সিং বর্মা বলেছিলেন, ‘‘মেয়েরা ১৫ বছর বয়সে সন্তানের জন্ম দিতে পারে৷ তাহলে বিয়ের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার কী দরকার৷’’
তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দেশে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়৷ অস্বস্তিতে পড়ে কংগ্রেস৷ এদিন মহিলা অফিসারকে হুমকি দিয়ে ফের মুখ পোড়াল দল৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.