শঙ্কর দাস, বালুরঘাট : ভাষা এক। সংস্কৃতি ও মাটির গন্ধও এক। এমনকি আচার ব্যবহার সমস্ত কিছুই এক। মাঝে শুধুমাত্র সীমান্ত নামক ভৌগোলিক একটি রেখা একাত্মার মানুষগুলিকে আলাদা করে দিয়েছে মাত্র।কাঁটাতার ও সীমান্তের বিধিনিষেধ থাকলেও আজও প্রতিবেশীর বিজয় দিবস ও ভাষাদিবসে এপার বাংলার মানুষও দূর থেকে তাতে শরিক হয়ে যান।

প্রতিবেশী রাষ্ট্র সেই বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উৎসব। সেই উৎসবে মেতেছে দুই বাংলা তথা এপাড়-ওপাড় দুইদেশের মানুষ। আগামী ১৭ মার্চ শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী। সেই উপলক্ষে শুরু হয়েছে শতবার্ষিকী পালন উৎসব।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষর মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশের মধ্যেকার সৌভাতৃত্ব বোধকে আরও সুদৃঢ় করতে উদ্যোগী হয়েছে দুই দেশ। বিশেষ করে এপাড়ের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষদের মধ্যে সেই ভাবনাকে আরও গাঢ় করতে মৈত্রীর সাইকেল রেলি ১০ জানুয়ারী শুরু হয়েছে উঃ চব্বিশ পরগনার পানিতোর এলাকা থেকে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর এই রেলিতে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ান যেমন অংশ নিয়েছেন। তেমনি বাংলাদেশে বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশ(বিজিবি)র প্রতিনিধিও রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ আসাম ত্রিপুরা সহ মোট ছয়টি রাজ্য অতিক্রমণ করে আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মদিনে মিজোরামের সিলকোর সীমান্তে গিয়ে এই রেলির সমাপন ঘটবে।

মুর্শিদাবাদ মালদহ হয়ে আজ সকালে দুইদেশের মৈত্রীর সাইকেল রেলি পৌঁছেছে দক্ষিণ দিনাজপুরে। আজ সকালে জেলার লক্ষী-নারায়ণপুর বিএসএফ ক্যাম্প থেকে রেলি শুরু হয়ে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর বর্ডার-রোড হয়ে তা একের পর এক বিওপি এলাকা অতিক্রম করে। সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা পুষ্পবৃষ্টির মাধ্যমে মৈত্রীর বার্তা বহনকারীদের অভিবাদন জানান। দক্ষিণ দিনাজপুরে এদিনের যাত্রার সূচনালগ্নে লক্ষ্মী-নারায়ণপুর ক্যাম্পে উভয় দেশের আধিকারিক পর্যায়ে উপস্থিত ছিলেন বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশে ১৬ নং ব্যাটেলীয়নের সুবেদার আব্দুল লতিফ ও বিএসএফ’এর ডিআইজি রাজীব রঞ্জন শর্মা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।