শুভেন্দু-দিলীপের রাম-লক্ষ্মণ জোড়ি তৃণমূলকে রুখবে! মেদিনীপুর, বীরভূম, বর্ধমানে কোন ডেমোর বার্তা কলকাতার মঞ্চে
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে পাখির চোখ নীলবাড়ি। আর নবান্ন দখলের লড়াইতে শুভেন্দুকে পাশে বসিয়ে এদিন তৃণমূলে ভাঙন প্রসঙ্গে জোদার বার্তা দিলেন দিলীপ ঘোষ। এর আগে লালমাটির দিলীপ ও বালিমাটির শুভেন্দুর জোটের বার্তা শিশির পুত্র জোরালো কণ্ঠে দিয়ে যান রাসবিহারীর সভায়। এরপরই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে পারদ চড়ান বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

'গঙ্গার ওপারে রাম-লক্ষ্মণের জোড়ি'
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টার্গেটে রেখে দিলীপ ঘোষ বলেন, দিদি সেফ সিট খুঁজতে নন্দীগ্রাম আসনের কথা ভাবছেন। দিলীপ ঘোষ এদিন তাঁর ও শুভেন্দুর জুটিকে নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, গঙ্গার ওপারে 'রাম লক্ষ্মণের জোড়ি' আছে। ওদিকে গেলে ঘাসফুলের একটিও আসন আসবে না।

অনুব্রতকে নিশানা করে ভাঙনের চ্যালেঞ্জ দিলীপের!
এদিনের সভা মঞ্চ থেকে অনুব্রতকে নিশানা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, দিদি পাহারাদার হিসাবে একজনকে বীরভূমে বসিয়েছেন। এরপরই দিলীপের দাবি, পাহারাই চলবে, আর এদিকে আমরা বাগান সাফ হবে। তিনি বলেন, পাহারাদার গেটের বাইরে থাকবে বাগান চুরি হবে। বীরভূম থেকে কল আসছে আমরা জয়েন করতে চাই। প্রসঙ্গত, বীরভূমের বুকে তৃণমূলের কোন্দল এদিন ছিল দিলীপের নিশানায়।

'মেদিনীপুর, বীরভূম, সামান্য বর্ধমানে ডেমো'
এদিন দিলীপ ঘোষ পারদ তুঙ্গে রেখে বলেন, ডেমো দিয়েছি একটা মেদিনীপুরে, বীরভূমে আর সামান্য বর্ধমানে। তাতেই টালমাটাল তৃণমূল। উল্লেখ্য, মেদিনীপুরে শিসির অধিকারীর বাড়িতে কেয়েকদিন আগে বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতর উপস্থিতির ঘটনা এই প্রসঙ্গে অনেকেরই মনে পড়তে পারে। অন্যদিকে, বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় ও পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে রাজ্য রাজনীতির সাম্প্রতিক অধ্যায় এ প্রসঙ্গে তাৎপর্যবাহী বলে দাবি অনেকের।

'নরেন্দ্র মোদী আসার আগেই টালমাটাল'
প্রসঙ্গত, মাসের শেষেই রাজ্যে নরেন্দ্র মোদীর সফরের কথা রয়েছে। তার আগে তৃণমূল টালমাটাল হয়ে গিয়েছে বলে দাবি দিলীপ ঘোষের। আর সেই প্রসঙ্গেই তিনি ওদিন সুর চড়াল কলকাতার বুক থেকে।
'দিদি নন্দীগ্রাম ভাবছেন,আর ভবানীপুর আমরা জিতে নেব', মমতার খাস তালুকে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার দিলীপের