নয়াদিল্লি: হাড় কাঁপানো শীতেও উত্তপ্ত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা৷ সীমান্তে ক্রমাগত পড়ছে ড্রাগনের উষ্ণ নিঃশ্বাস৷ লাদাখে ভারত-চিন সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই নতুন করে চিনা আগ্রাসনের ইঙ্গিত৷ সীমান্ত পেরিয়ে এবার অরুণাচল প্রদেশে নির্মাণ কাজ শুরু করল লাল ফৌজ৷ সেখানে আস্ত একটি গ্রাম তৈরি করে ফেলা হয়েছে৷ এমনটাই সর্বভারতীয় একটি টিভি চ্যানেলের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে৷

জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে ১০১টি বাড়ি রয়েছে৷ গত বছর ১ নভেম্বর এই চিত্র স্যাটেলাইটে ধরা পড়েছিল৷ বিতর্কিত সীমান্ত পেরেয়ি ভারতের মাটিতে চিনা নির্মাণের এই ছবি নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে৷ ওই টিভি চ্যানেলের দাবি, ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রায় ৪.৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই গ্রাম গড়ে উঠেছে৷ যা ভারতের কাছে দুঃশ্চিন্তার বড় কারণ৷

২০১৯ সালে একই জায়গার উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছিল ঝোপ জঙ্গলের ছবি৷ সেখানেই এখন গড়ে উঠেছে আস্ত একটি গ্রাম৷ আপার সুবানসিরি জেলায় সারি চু নদীর তীরে এই গ্রাম তৈরি করা হয়েছে৷ এই অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই ভারতের সঙ্গে বিবাদ রয়েছে৷ অতীতে এখানে একাধিকবার সংঘর্ষও হয়েছে৷ গত কয়েক দশক ধরে হিমালয়ের পশ্চিম প্রান্তে লাদাখ সীমান্তে চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারত ও চিনা সেনা৷ এরই ফাঁকে হিমালয়ের পূর্ব প্রান্তে ভারতে ঢুকে গ্রাম নির্মাণ করে ফেলেছে চিন৷

গত বছর জুন মাসে গালোয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে শহিদ হয়েছিলেন ২০ ভারতী জওয়ানের৷ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল চিনেরও৷ কিন্তু তারা ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আনেনি৷ এর পর আরও উত্তপ্ত হতে শুরু করে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি৷ মাইনাস ডিগ্রি তাপমাত্রায় লাদাখের প্রবল ঠাণ্ডার মধ্যেও সেনা মোতায়েন রেখেছে নয়াদিল্লি৷

সীমান্তবর্তী এলাকায় চিন যে অবৈধ ভাবে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে সে কথা শিকার করে নিয়েছে বিদেশ মন্ত্রকও৷ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, চিন যে ভারত সীমান্তে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে সেই সংক্রান্ত সাম্প্রতিক রিপোর্ট আমরা পেয়েছি৷ গত কয়েক বছর ধরে একই ভাবে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে চিন৷ গত বছর নভেম্বর মাসে অরুণাচলের বিজেপি সাংসদ টাপির অভিযাগ করেছিলেন, আপার সুবনসিরি জেলায় এলএসি পেরিয়ে ভারতীয় এলাকায় ঢুকে স্থায়ী কাঠামো বানাচ্ছে চিন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।