বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান আউশগ্রাম এর জনসভা থেকে বিজেপিকে তুলোধনা করলেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল৷ বিজেপিকে বড়লোকদের দালাল বললেন তিনি৷
বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, বিজেপি বড়লোকদের দালাল৷ সাধারণ মানুষের জন্য কোনও কাজ করে না৷ কৃষকদের ঠান্ডায় রাস্তায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে৷ কৃষকদের উপর কোনও দয়া নেই বিজেপি সরকারের৷ সোনার ভারত গড়বে বলে অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে৷
তিনি আরও বলেন, একের পর এক কয়লাখনি বিক্রি করছে৷ ২০১৪-য় বলেছিলেন সবার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেব৷ বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরি দেব৷ ৮ বছর হয়ে গেল কোনও পরিষেবা দেয়নি৷ তাই বিজেপিকে মানুষ বিশ্বাস করে না৷ মোদী ওই যে পালিয়ে গিয়েছে লন্ডনে?তার নামটা কি নীরোব তোমার কেউ আত্মীয় হয়?
বেশি টাকা মারে নি, ১৪ হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে ,তাকে তুমি এখনও ফিরিয়ে আনতে পারোনি৷ যারা টাকা মেরে চলে গিয়েছে,তারা মোট ভারতবর্ষের গরীব মানুষের ২ লক্ষ হাজার কোটি টাকা মেরে বিদেশে চলে গেছে ৷
১৯ এ বলেছিলে ওদের আমি গ্রেফতার করে আনবো,কিন্তু কি করে আনবে ,তোমার তো কেউ না কেউ হয়৷ কোথায় গেল বিজয় মালিয়া? কয়েক মাস আগে করোনা ভাইরাসের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমন করেছিলে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল৷
অনুব্রত মন্ডল বলেছিলেন, ইয়েস ব্যাংক শেষ হয়ে গেল,অর্থনৈতিক শেষ হয়ে গেছে,এর থেকে আর বড় ভাইরাস কি আছে৷ করোনা থেকেও ভয়ঙ্কর হল মোদী ভাইরাস৷ চেষ্টা করা হচ্ছে এই ভাইরাসকে কিভাবে নষ্ট করা হবে৷ তার জন্য পশ্চিমবঙ্গে ওষুধ আবিস্কারের গবেষনা চলছে৷
গুসকরা শহরে আউশগ্রাম বিধানসভা এলাকার দলীয় কর্মীদের নিয়ে কর্মী সম্মেলন করেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই সম্মেলনে ২৬৯ টি বুথের দলীয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কোন বুথের, কেমন অবস্থা তা জানতে চান। যে সমস্ত বুথে দল পিছিয়ে রয়েছে, সেই বুথে কী পরিকল্পনা, ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাও জানতে চান। বিধানসভা ভোটে সেইসব বুথ ও অঞ্চল থেকে দল কত লিড পাবে সেকথাও জানতে চেয়েছেন অনুব্রত।
এদিকে আজ রবিবার ক্যানিংয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও কেন্দ্রকে একহাত নিলেন৷ কেন্দ্রের কৃষক আইন সহ একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ করেন তিনি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.