নয়াদিল্লি: গত কয়েকদিনে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। প্রাইভেসি পলিসি পরিবর্তন করতে গিয়ে প্রতিবাদের মুখে পড়তে হয়েছে। যদিও বারবার হোয়াটসঅ্যাপ সাফাই দিয়েছে যে তারা কারও ব্যক্তিগত মেসেজে উঁকি মারবে না, তবুও সন্দেহের মেঘ কাটছে না।
এবার ‘হোয়াটসঅ্যাপ’ নিজে তার হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে বার্তা দিল ইউজারদের। জানিয়ে দিল যে তারা কোনও ব্যক্তিগত কথোপকথনে চোখ রাখতে পারবে না।
গত সপ্তাহে নতুন টার্মস অফ সার্ভিস-এর বিষয়ে অবগত করে হোয়াটসঅ্যাপ। অ্যাপের মধ্যেই একটি নোটিফিকেশন দিয়ে সেকথা জানায়। আর তাতেই শুরু হয় বিতর্ক। বিতর্কের মুখে অবশেষে সেই সিদ্ধান্ত পিছোতে বাধ্য হয় ওই সংস্থা।
রবিবার হোয়াটসঅ্যাপ চারটি স্টেটাস শেয়ার করে। আর সেখানে ফের নতুন করে বার্তা দেওয়া হয়। একটিতে লেখা হয়, ‘হোয়াটসঅ্যাপ আপনার লোকেশন দেখতে পাবে না।’, পরেরটিতে লেখা, ‘হোয়াটসঅ্যাপ আপনার ব্যক্তিগত কথোপকথন পড়তে পারবে না, কারণ সেটি end-to-end encrypted’, আরও একটি স্টেটাসে লেখা, ‘হোয়াটসঅ্যাপ আপনার কনটাক্ট ফেসবুকের সঙ্গে শেয়ার করে না’ ও সবসব শেষে লেখা, We are committed to your privacy.
নতুন প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় কিছুদিন আগেই। এমনকী দিল্লি হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলাও। কয়েক কোটি কোটি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারীরা এই অ্যাপ ছেড়ে টেলিগ্রামের মত অ্যাপগুলি ব্যবহার করা শুরু করেছিল। এই সব পরিস্থিতি বিচার করেই পিছু হঠতে বাধ্য হল ফেসবুকের মালিকানাধীন এই সংস্থা৷
আগে জানানো হয়েছিল, নয়া প্রাইভেসি পলিসি ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখ থেকে কার্যকর হবে৷ যদিও বলা হয় হোয়াটসঅ্যাপের এই আপডেটে ফেসবুকের সঙ্গে কোনও তথ্য শেয়ার করবেন না তারা।
হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে যে, হোয়াটসঅ্যাপের এই আপডেট নিয়ে একাধিক ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে। বহু ভুয়ো তথ্যও ছড়িয়ে পড়ছে, যা রীতিমত চিন্তার। সবাইকে নয়া নীতির বিষয়ে সাহায্য করতে চায় তারা। সংস্থার দাবি, খুব সাধারণ ধারণা থেকে হোয়াটসঅ্যাপ তৈরি হয়েছে। বন্ধু ও পরিবারের মধ্যে যে কথা হবে তা যেন গোপন থাকে, নিজেদের মধ্যে থাকে। এর অর্থ হল আমরা সব সময় এই নীতি মেনেই চলব।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.