গঙ্গাসাগর থেকে চার অপহৃত মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা উদ্ধার, সাফল্য পুলিশের
গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানে এসে চার অপহৃত মহারাষ্ট্রের বাসিন্দাকে উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার জামাল সহ ছয় দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে মথুরাপুর ও রায়দিঘি থানার পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীদের পান্ডা জামালের সঙ্গে অপহৃত মহারাষ্ট্রের বাসিন্দাদের আগে থেকেই পরিচয় ছিল। জামাল দীর্ঘদিন মুম্বইয়ে জরির কাজ করত। জামাল ওই চারজনকে কম খরচে গঙ্গাসাগর ভ্রমণ ও একাধিক জায়গায় ঘোরানোর কথা বলে এ রাজ্যে নিয়ে আসেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা সকলেই ঢোলাহাট, মথুরাপুর ও রায়দিঘি থানা এলাকার বাসিন্দা।
জেরায় তারা নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। জামাল ও তার সঙ্গীরা ওই চার পর্যটকদের কাছে থাকা ৪০ হাজার টাকা ও পাঁচটি মোবাইল ছিনতাই করে। এমনকি, তাদের একটি নির্জন জায়গায় আটকে রেখে অকথ্য অত্যাচার করা হয়। প্রসঙ্গত, ১৪ জানুয়ারি রাত দু'টো নাগাদ সুন্দরবন পুলিশ কন্ট্রোল রুম মারফত জানা যায় মহারাষ্ট্র থেকে আসা চারজন পর্যটককে অপহরণ করেছে দুষ্কৃতীরা।
চাওয়া হয়েছে বিপুল পরিমাণ মুক্তিপণ। টাকা না দিলে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারির নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। এরপর প্রত্যন্ত হোগলডাঙ্গা গ্রামের এক নির্জন জায়গা থেকে পর্যটকদের উদ্ধার করা হয়। ধরা পড়ে দুষ্কৃতী দলের ছয় সদস্য।
অপহৃতদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের চার বাসিন্দা অপহরণের পর ওই পর্যটকদের পরিবারের কাছে কুড়ি লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। টাকা দিতে না পারলে তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। অপহৃতদের পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ জানার পর দুষ্কৃতীদের মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান থেকে মথুরাপুর ও রায়দিঘি থানার সীমান্ত এলাকা থেকে ওই চার জনকে উদ্ধার করা হয়।
বিদ্রোহে ইতি টানতেই বিরাট পুরস্কার শতাব্দীকে, তৃণমূলের রদবদলে মিলল বড় পদ