বিদ্রোহে ইতি টানতেই বিরাট পুরস্কার শতাব্দীকে, তৃণমূলের রদবদলে মিলল বড় পদ
তৃণমূলে বিদ্রোহের তালিকায় নাম লিখিয়েছিলেন অভিনেত্রী-সাংসদ শতাব্দী রায়ও। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বিদ্রোহে ইতি টানতেই মিলল বড় পদ। তৃণমূলে তাঁর সমস্যা জানানোর পরই কাজ হয়েছে, সাম্প্রতিক রদবদলে শতাব্দী রায়কে রাজ্য কমিটির সহ সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে।

তৃণমূলের সাম্প্রতিক রদবদলে যাঁরা পেলেন পদ
তৃণমূলের সাম্প্রতিক রদবদলে ‘বিদ্রোহী' শতাব্দী রায় ছাড়াও রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি করা হয়েছে উত্তরবঙ্গের দুই নেতাকে। মালদহের মোয়াজ্জেম হোসেন ও দক্ষিণ দিনাজপুরের শঙ্কর চক্রবর্তীকে করা হয়েছে সহ সভাপতি। সম্প্রতি তাঁদের দুজনকে জেলার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই রাজ্যের পদ দেওয়া হল তাঁদের।

শতাব্দী রায় তৃণমূলে বড় পদ পেয়ে কী বললেন
এদিন শতাব্দী রায় বড় পদ পেয়ে বলেন, অনেক বড় দায়িত্ব দিয়েছে দল। আমি কৃতজ্ঞ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। আমি দলের প্রতিও দায়বদ্ধ। বড় দায়িত্ব পেয়েছি, তাই এবার মন দিয়ে কাজ করতে হবে। সামনে বড় লড়াই। সেই লড়াইয়ে জিতে তৃণমূলই ক্ষমতায় আসবে।

দলে বললে কাজ হয়, মন দিয়ে কাজ করবেন শতাব্দী
একসঙ্গে থাকলে অনেক সময়ই অনেক সমস্যা হয়। আবার তা ঠিকও হয়ে যায়। সব সমস্যা মিটে গিয়েছে। এখন আর বিতর্ক নয়, এবার একযোগে কাজ করার সময় এসেছে। সেইসঙ্গে এটাও প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে যে, দলে বললে কাজ হয়। শুধু সঠিক মাধ্যম চাই। সেই সূত্র ধরেই সমস্যার সমাধান হয়েছে, দায়িত্ব পেয়েছি, মন দিয়ে কাজ করব।

বিজেপিতে যোগদান-জল্পনার অবসান শেষে
শতাব্দী রায় বৃহস্পতিবার থেকেই বেসুরো বাজছিলেন। তনি ফেসবুক পোস্ট করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। এমনকী তিনি দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার কথাও জানিয়ে দেন। স্বভাবতই তাঁর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। তারপরই আসরে নামে তৃণমূল।

অভিষেকের সঙ্গে শতাব্দী বৈঠকেই বরফ গলে
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মধ্যস্থতায় শুক্রবার সন্ধ্যায় আড়াই ঘণ্টার বৈঠক হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শতাব্দী রায়ের মধ্যে। শেষ বরফ গলে। শতাব্দী জানিয়ে দেন, তিনি দিল্লিতে যাচ্ছেন না, ফেসবুক লাইভও করছেন না। তৃণমূলে ছিলেন, তৃণমূলেই থাকছেন। দিদির জন্যই তিনি তৃণমূলে থাকবেন।
মোহভঙ্গ বিজেপিতে! দু-মাস কাটতে না কাটতেই শুভেন্দু-গড়ের হেভিওয়েট নেতার 'ঘরওয়াপসি’