২০১৯ নয়, চিনে করোনা সংক্রমণ অনেক আগেই! বিজ্ঞানীদের 'স্বীকারোক্তি'তে চাঞ্চল্য
বাদুর থেকেই কি করোনার (coronavirus) সংক্রমণ, চিনের বিজ্ঞানীদের 'স্বীকারোক্তি' সেই দিকেই নিয়ে যাচ্ছে। চিনের (china) উহান ল্যাবের (Wuhan laboratory) বিজ্ঞানীরা বলেছেন, একটি গুহা থেকে করোনা সংক্রমিত বাদুরের নমুনা সংগ্রহ করার সময় বাদুরের কামড় লেগেছিল।
পরপর ৬ দিন রাজ্যে নিম্নমুখী করোনা আক্রান্তের গ্রাফ! কমল মৃত্যুও, একনজরে জেলাগুলির অবস্থা

প্রকাশিত খবরে দাবি
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে, উহানের ল্যাবের এক গবেষক বলেছেন, নমুনা সংগ্রহের সময় একটি বাদুরের পাখনার অংশ তাঁর হাতে থাকা রবারের গ্লাভসের মধ্যে দিয়ে হাতে লেগেছিল ছুঁচের মতো। সেটা ছিল ২০১৭ সালের ঘটনা।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নিরাপত্তার বিধানকে অমান্য
চিনের এক সংবাদ মাধ্যম কর্মী ২০১৭ সালে গোপনে বাদুরের নমুনা সংগ্রহের ছবি তুলেছিলেন বলে দাবি। সেই সূত্রেই দাবি করা হয়েছে, বাদুরের নমুনা সংগ্রহের সময় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নিরাপত্তার বিধানকে অমান্য করেছিলেন চিনের বিজ্ঞানীরা। কোন গ্লাভস ছাড়াই বাদুর ধরা হয়েছিল। এইভাবেই ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছিলেন বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও সেই সময় মাস্ক, পিপিইও ব্যবহার করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

চিনে গিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিদল
এই সংবাদ প্রকাশ চিনে সফররত বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দলের সামনেও প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার একটি দল এই মুহুর্তে চিনের উহানে রয়েছে। তারা করোনা উৎস খুঁজতে সেখানে গিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা চিনের উহানে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। কেননা উহান থেকেই চিনে করোনা ছড়ায়। এবং পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দলটি উহানে গিয়েছে। এই দলে রয়েছেন ১৩ জন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ। এই দলের আরও দুজন সদস্য সিঙ্গাপুর থেকে বিমানে উঠতে পারেননি। কেনান বিমানে ওঠার আগেই তাদের করোনা ধরা পড়ে।

আটমাসে প্রথম মৃত্যু
চিনের দাবি অনুযায়ী সেদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। বৃহস্পতিবার গত আটমাসের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম কারও মৃত্যু হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সেখানে নতুন করে করোনা ছড়াচ্ছে। দেশের উত্তরাংশে প্রায় দু কোটি মানুষ লকডাউনের মধ্যে রয়েছেন। সেখানকার একটি প্রদেশে নতুন করে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

করোনা নিয়ে চিনের শ্বেতপত্র
গত জুনে করোনার সংক্রমণ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছিল চিন। সেই সময় তারা জানিয়েছিল, উহানে প্রথম করোনা ধরা পড়ে ২৭ ডিসেম্বর। আর ১৯ জানুয়ারি প্রথম বোঝা যায় এই ভাইরাসের সংক্রমণের গতি এবং মারণ ক্ষমতা। ৬ জুন আমেরিকায় বিশ্বের ৮ টি দেশকে নিয়ে তৈরি হয় ইন্টার পার্লামেন্টারি অ্যালায়েন্স অন চায়না। তারপরেই তিন এই তথ্য দেয়। চিনের তরফে দাবি করা হয়, ২৭ ডিসেম্বরের পরেই বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি হয় সেই দেশে। পাশাপাশি টেস্টও শুরু হয়। কিন্তু ভাইরাসটি অতি সংক্রামক হওয়ায় তা রোখা যায়নি। সেই সময় বাদুর কিংবা প্যাঙ্গোলিন থেকে করোনা ছড়ানো সন্দেহ করা হলেও, তার স্বপক্ষে প্রমাণ হাতে আসেনি।