'কাজ করতে বাধা' প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজীবকে বিজেপির শুভেন্দুর কোন পরামর্শ! ফেসবুক লাইভের পর তুঙ্গে পারদ
দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বর পোস্টার রাজনীতি নিয়ে এককালে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছিল তৃণমূল। তারপর সেই রাজনীতির হাত ধরে দল থেকে শুভেন্দুর বেরিয়ে যাওয়া এবং বিজেপির হাত ধরা রাজ্যরাজনীতিতে একটি অধ্যায়ের সূচনা করেছিল। এদিকে, তারপরই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'বেসুরো' হওয়ার ঘটনা ও শনিবার তাঁর ফেসবুক লাইভ রীতিমতে অস্বস্তিতে ফেলেছে তৃণমূলকে। এমন এক পরিস্থিতিতে শুভেন্দু রাজীবকে কোন পরামর্শ দিয়েছেন দেখা যাক।

লাইভে রাজীবের বক্তব্য তৃণমূল নিয়ে
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের লাইভ নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সাফ ভাষায় লাইভে রাজ্যের বনমন্ত্রী জানিয়েছেন যে 'ভালোভাবে কাজ করতে গেলে কিছু নেতারা ইচ্ছাকৃত ভাবে বাধা দেন। ভাল কাজ করতে গেলেই বাধা প্রাপ্ত হচ্ছি। আমি উন্নয়নের কর্মী হিসাবে কাজ করতে চাই। এমন উন্নয়ন হোক , যাতে কোথাও ফাঁক থাকবে না।'

'কাজে বাধা' প্রসঙ্গে রাজীবের প্রতি শুভেন্দু
এদিকে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ' কাজ করতে গেলে বাধা পাচ্ছি' মন্তব্য প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'আমি বাধা প্রাপ্ত হয়েও বেরিয়ে এসেছি। রাজবী বন্দ্যোপাধ্যায়েরও বেরিয়ে আসা উচিত। যাঁরা কর্মচারী হয়ে থাকতে চান না, তাঁরা সবাই বেরিয়ে আসুন।'

শুভেন্দুর সাফ বার্তা
একই মেজাজে পারদ তুঙ্গে চড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সাফ বার্তা ' তৃণমূল কংগ্রেস প্রাইভেট লিমিটেড উঠে গিয়েছিল। দরজা খোলার লোক পাওয়া যেত না। তোলাবাজ ভাইপোকে কেউ দেখতে পায়নি। তখন আমি পার্চি অফিস খুলে বসতে বলেছিলাম।' সুর চড়িয়ে শুভেন্দুর বার্তা 'এটা তো কম্পানি , আমি কর্মচারী থাকতে পারব না।'

তৃণমূলের অন্দর নিয়ে রাজীব
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ফেসবুক লাইভে সাফ জানান, তিনি একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী, তাই সেই রাজনৈতিক দলের কর্মীদের দুঃখ কষ্ট বুঝতে পারছেন। তিনি বলেন, 'আমি কর্মীদের সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার দলনেত্রীও সেকথা বলেন। কিন্তু যখন দেখি কর্মীরা সম্মান পান না, কষ্ট হয়।
' তাঁর প্রশ্ন যে কর্মীরা কষ্ট পাচ্ছেন, তাঁদের কথা বলা কি অন্যায়?