প্রতীতি ঘোষ, বারাকপুর : ‘বীজপুরে দল কাকে প্রার্থী করবে জানি না, তবে আগামী ১৫ মে’র পরে এই বীজপুরে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীরাই বিজয়া সম্মেলন করবেন।’
রবিবার সকালে নিজের গড়ে চায়ে পে চর্চার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে এসে এমনই মন্তব্য করেন বীজপুরের বর্তমান বিধায়ক তথা মুকুল পুএ শুভ্রাংশু রায়।
এদিন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় বলেন, ‘বীজপুরে তৃণমূল যতই বলুক তারা ভাল জায়গায় আছে, তৃণমূলের সেই বক্তব্যকে আমল দিতে নারাজ বিজেপি। বীজপুরে বিজেপি সাংগঠনিক শক্তিতে তৃণমূলের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। বীজপুরে জয়ের বিষয়ে ১০০% আশাবাদী তিনি।”
এছাড়াও দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বলেন, “শক্ত হাতে বিরোধীদের মোকাবিলা করতে হবে, যে দেবতা যে ফুলে সন্তুষ্ট তাকে সেই ফুলেই পুজো দিতে হবে।”
রবিবার বীজপুরে চায়ে পে চর্চা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি আরও বলেন, “শাসক দলের সবাই মুকুল রায়ের পাঠশালায় পড়া ছাত্র নয়, তবে যারা মুকুল রায়ের পাঠশালায় পড়াশোনা করেছেন তারা রাজনীতি ভালই বোঝেন। এখন তারাই বিজেপিতে আছেন । বিজেপি গঠনমূলক দল। সবাই এই দলে আসতে পারে না।”
এদিন শুভ্রাংশু রায় মদন মিত্রের সমালোচনা করে বলেন, “মদন মিত্র অভিজ্ঞ নেতা। তবে তার ভাটপাড়ায় ছেলের বয়সী পবন সিংয়ের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ানো উচিত হয়নি। উনি মানুষের জন্য এক সময় অনেক কাজ করার চেষ্টা করেছেন। তবে এখন উনার বয়স হয়েছে তাই মতিভ্রম হয়েছে। কেউ উনাকে বুদ্ধি দিয়েছে উনি আগের জায়গা ফিরে পাবেন, তাই ভাইপোকে খুশি করতে যা ইচ্ছা বলছেন। ওনার আশা পূরণ হবে না। ফিরহাদ হাকিম কেও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ২০০৭ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর কেন্দ্রে তার পরিবর্তে তাপস পালের টিকিট দেওয়ায় কিছু লোকজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির টালির চালে ইট মেরেছিল। কার নির্দেশে কারা সেই ঘটনা ঘটিয়েছিল? ফিরহাদ বাবু জানালে ভালো হয়। এই বীজপুরে দল কাকে প্রার্থী করবে জানা নেই, তবে বিজয় মিছিল এই বীজপুরে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীরাই করবেন।”
বীজপুর বরাবরই মুকুল গড় বলে পরিচিত। এবারও বীজপুর বিজেপির দখলেই থাকবে বলে আশাবাদী বিজেপি কর্মীরা। তবে তৃণমূল বিজেপিকে হারাতে মরিয়া বীজপুরে। কারন তৃণমূল ও বিজেপি উভয় দলের কাছেই প্রেস্টিজ ফাইট এই বীজপুরে । বীজপুরে শেষ হাসি কে হাসবে এখন সেটাই দেখার।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.