জিতেন্দ্রর ডানা ছাঁটা অব্যাহত তৃণমূলে! পুর প্রশাসকের পর জেলা সভাপতির পদ খুইয়ে কোন প্রতিক্রিয়া নেতার
বহুদিন ধরেই বেসুরো ছিলেন তিনি। একটা সময়ে দাঁড়িয়ে আসানসোলের পুরপ্রশাসক থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বহু আগেই। পরে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘাত মিটিয়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়ালেও জিতেন পদ ফিরে পাননি। এরপর নতুন করে কোপ পড়ল জিতেন্দ্র তিওয়ারির আরও এক পদে!

পদ খোয়ালেন জিতেন্দ্র
পশ্চিমবর্ধমানের জেলা সভাপতির পদ থেকে বাদ পড়লেন তৃণমূলের বেসুরো নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। প্রথমে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, তারপর পদ ছেড়ে ইস্তফা। এবং এরপর কলকাতায় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর দেলর ওপর আস্থা রাখার বার্তা দিয়েও বিজেপির নৈশভোজে জিতেন্দ্রর উপস্থিতি। এই সমস্ত অধ্যায়ের পর জিতেন্দ্র তিওয়ারির থেকে তৃণমূল ছিনিয়ে নিল জেলা সভাপতির পদ।

কে এলেন জিতেনের জায়গায়?
আসানসোলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা ও পশ্চিম বর্ধমানের তাবড় ব্যক্তিত্ব জিতেন্দ্র তিওয়ারির জায়গায় পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাপতির পদে এলেন অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু জিতেন্দ্র তিওয়ারি নিজের ইস্তফা পত্র ফিরিয়ে নেননি, তাই এমন সিদ্ধান্ত।

জেলা কমিটিতে নেই জিতেন্দ্র, দলের রাজ্য সহ সভাপতি শতাব্দী
এদিকে, জানা গিয়েছে , পশ্চিম বর্ধমানের নতুন জেলা কমিটিতেও নেই জিতেন্দ্র তিওয়ারি। দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা ও তার আগের রাতে শুভেন্দু, সুনীলদের সঙ্গে জিতেনের সাক্ষাৎ কি কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর তৃণমূল-ভবিষ্যতে? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, এই হাইভোল্টেজ খবরের জেরে। এদিকে, দলের রাজ্য সহ সভাপতি পদে এলেন শতাব্দী রায়, রাজ্যকমিটিতে এর সঙ্গেই তনি পেলেন জায়গা। আর এর হাত ধরেই তৃণমূল স্পষ্ট করল যে বেসুরো হলে দলে কোন জায়গা পেতে হবে, আর পার্টিলাইন ধরে চললে, তার ফল কী হতে পারে।

জিতেন্দ্র প্রতিক্রিয়া
এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানিয়েছেন, দিদির সৈনিক হওয়ার থেকে বড় কোনও পদ হয়না। তিনি জানান, 'দলের প্রবীণদের পদপ্রাপ্তিতে আমি পদ খুঁজে পাই।'
তৃণমূলে ধাক্কা দিয়ে ফের বড়সড় দলবদল! সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ফের বিজেপির ফোকাসে