২১-এর ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে বড় পরিকল্পনা অমিত শাহের! রাজ্য জুড়ে বিজেপির পরিবর্তন 'রথযাত্রা'
রথযাত্রা (rath yatra) দিয়েই দেশের সংসদীয় রাজনীতিতে নিজেদের ক্ষমতা বাড়িয়েছে বিজেপি (bjp)। যার শুরু হয়েছিল আটের দশকের শেষের দিকে। এবার নিজেদের সেই পরীক্ষিত 'রাজনীতি' ফের এই রাজ্যে প্রয়োগ করতে চলেছে বিজেপি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, নির্বাচনের আগেই রাজ্যের পাঁচটি জায়গা থেকে পাঁচটি পরিবর্তন রথযাত্রা বের হবে। যেগুলি ছুঁয়ে যাবে সবকটি বিধানসভা কেন্দ্র।

অমিত শাহের উপস্থিতিতেই রণকৌশল
মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ, অমিতাভ চক্রবর্তীরা দিল্লি গিয়েছিলেন রণকৌশল নির্ধারণ বৈঠকে যোগ দিতে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে অমিত শাহের উপস্থিতিতে এমনই একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই রথযাত্রা নিয়ে প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

রাজ্যের ৫ প্রান্ত থেকে বেরোবে রথ
প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে রাজ্যের পাঁচটি প্রান্ত থেকে আলাদা আলাদা ভাবে রথগুলি বের করা হবে। এমনভাবে রথগুলি যাবে, যাতে কোনও না কোনও রথ রাজ্যের ২৯৪ টি কেন্দ্র ছুঁয়ে যেতে পারে। প্রাথমিকভাবে নাম দেওয়া হয়েছে পরিবর্তন রথযাত্রা। ফলে সাধারণ জনসভা ছাড়াও রাজ্যে মানুষের কাছে এই রথযাত্রার মাধ্যমে পরিবর্তনের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়ে এই রথযাত্রা চলতে পারে মার্চের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত।

রাজ্য নেতাদের পাশাপাশি থাকবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা
প্রাথমিক পরিকল্পনায় ঠিক হয়েছে, রথযাত্রার সূচি এমনভাবে করা হবে, যাতে দলের প্রথমসারির নেতারা এক-একটি রথযাত্রায় অন্তত একসপ্তাহ সময় দিতে পারেন। এছাড়াও বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারাও এই রথযাত্রায় থাকতে পারেন বলে সূত্রের খবর। রথযাত্রা যেহেতু প্রত্যেকটি বিধানসভা ছুঁয়ে যাবে, তাই বিধানসভা ভিত্তিক নেতারা এবং জেলার নেতাদেরও এই রথযাত্রায় গুরুত্ব দেওয়া হবে। উল্লেখ্য যে, এর আগে একাধিক রাজ্যে এই উপায়ে সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। এবার সেই উপায় বাংলায় প্রয়োগ করতে চলেছে গেরুয়া শিবির।

লোকসভা নির্বাচনের আগে রথযাত্রায় 'বাধা'
তবে শুরু এবারের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই নয়, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগেও রথযাত্রার পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি। কিন্তু সেখানে প্রশাসনের অনুমতি মেলেনি। মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। সরকার আদালতে বলেছিল, রথযাত্রার যে সূচি তৈরি করা হয়েছে, তাতে জায়গায় জায়গায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি হতে পারে। এব্যাপারে রাজ্য সরকারের তরফে আদালতে গোয়েন্দা রিপোর্টের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে বিজেপির সেই কর্মসূচি বাধা পায়। তবে এবারের কর্মসূচি নিয়ে নবান্ন কী করে এখন সেটাই দেখার।

রাজ্যে নির্বাচন পরিচালনায় উচ্চ পর্যায়ের কমিটি
দিল্লিতে রাজ্য বিজেপির সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হওয়া বৈঠকে নির্বাচন পরিচালনার জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেই কমিটিতে দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, অমিতাভ চক্রবর্তী ছাড়াও শুভেন্দু অধিকারীকে স্থান দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সেই কমিটিতে রয়েছেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশের মতো নেতারা। আর শীর্ষে থাকছেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা।
মুকুল বেসুরো হয়েও 'খেলা’ চালিয়ে যাচ্ছেন, তৃণমূলে ভাঙনে প্রশান্ত কিশোর অন্তরালে