যাচ্ছেন না মমতার সভায়! কারণ জানিয়ে বিস্ফোরক শিশির অধিকারী
শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari) তৃণমূল ছাড়ার পর প্রথমবারের জন্য নন্দীগ্রামে (nandigram) সভা করতে যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। কিন্তু এই সভায় হাজির থাকতে পারছেন না কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী (sisir adhikari)। শুধু তাই নয় অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্যই সেই সভায় যাচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

৭-এর বদলে ১৮-র সভায় মমতা
তৃণমূলের তরফে প্রথমে ঠিক করা হয়েছিল ৭ জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে সভা করবেন। সেই মতো শুভেন্দু অধিকারীও কর্মসূচি ঘোষণা করে দেন। কিন্তু পরে তৃণমূলের তরফে জানানো হয় জেলা কো-অর্ডিনেটর অখিল গিরি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো তৃণমূলের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে।

যাচ্ছেন না অধিকারী পরিবারের কেউই
তবে ১৮ জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামের সভায় অধিকারী পরিবারের কেউই যাচ্ছেন না। অধিকারী পরিবারের চার জনপ্রতিনিধির মধ্যে প্রথমে শুভেন্দু অধিকারী ও পরে সৌমেন্দু অধিকারী বিজেপি যোগ দিয়েছেন। এখনও তৃণমূলেই রয়েছেন কাঁথি ও তমলুকের সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী। শিশির অধিকারী এখনও রয়েছেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান পদে। তাঁরা এখনও কেউই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা জানাননি। তবে শুধু সোমবারে সভাতেই নয়, অধিকারী পরিবারের কেউই ডিসেম্বরে কাঁথিতে হওয়া সৌগত রায় ও ফিরহাদ হাকিমদের সভায়ও উপস্থিত ছিলে না।

ঘনিষ্ঠ মহলে বিস্ফোরক শিশির অধিকারীর
সূত্রের খবর অনুযায়ী, নন্দীগ্রামের সভায় যোগ দিতে তাঁদের কেউ আমন্ত্রণ জানায়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিশির অধিকারী। দলের তরফে এই সভা নিয়ে কেউই যোগাযোগ করেনি। তাই এই সভায় যাওয়ার প্রশ্ন ওঠে না, বলেছেন তিনি। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, আমরা তো লস্ট কেস।

প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক পদ থেকে সরানো হয়েছে 'অধিকারী'দের
শুভেন্দু অধিকারী প্রথমে দুটি প্রশাসনিত পদে ও পরে মন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন। শেষে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু এর পরেই তাঁর ছোট ভাই কাঁথির পুর প্রশাসক সৌমেন্দু অধিকারীকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপরেই তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। এরপর শিশির অধিকারীকে প্রথমে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ ও পরে পূর্ব মেদিনীপুর তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয় অসুস্থতার কারণেই শিশির অধিকারীকে সরিয়ে দেওয়া হল। জবাবে শিশির অধিকারী বলেছিলেন, তিনি অনেকের থেকে সুস্থ।

পদ্ম ফোটানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন শুভেন্দু
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শুভেন্দু অধিকারী নিজের বাড়ির পাশাপাশি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটেও পদ্ম ফোটাবেন বলে জানিয়েছিলেন। তবে তার জন্য বাসন্তী পুজো কিংবা রামনবমী পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছিলেন। এরইমধ্যে নিজের বাড়ির একজন (ছোট ভাই সৌমেন্দু) বিজেপিত যোগ দিলেও, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট কিংবা নিজের বাড়ির অন্য কেউ এখনও বিজেপিতে যোগ দেননি। সেই পরিস্থিতিতে শিশির অধিকারীর মমতার সভায় না যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
প্রত্যহ ১ লক্ষ পর্যটকের ভিড়ে সরগরম থাকবে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি! বার্তা মোদীর