তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া : পঞ্চম বর্ষ ‘জয়পুর পর্যটন উৎসব’ শুরু হচ্ছে আগামী ২৯ জানুয়ারী। চলবে ১ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। শুক্রবার বাঁকুড়ার জয়পুর বিডিও অফিসে এক সাংবাদিক বৈঠকে এখবর জানান স্থানীয় বিধায়ক ও রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্র মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা।
‘জয়পুরের জয় হোক’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৬ সালে শুরু হয় ‘জয়পুর পর্যটন উৎসব’। তারপর থেকেই ফি বছর এই উৎসব হয়ে আসছে। এক সময়ের মল্ল রাজাদের রাজধানী, মন্দির নগরী বিষ্ণুপুর শহর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরেই জঙ্গল ঘেরা জয়পুর। এখানকার প্রদ্যুম্নপুরেই ছিল মল্লরাজাদের রাজধানী।
জয়পুরের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু ঐতিহাসিক প্রাচীন ভাস্কর্য, স্থাপত্য। যেমন মাকড়া পাথরের তৈরি গোকুলচাঁদ মন্দির সহ বেশ কয়েকটি টেরাকোটার প্রাচীন মন্দিরও যথেষ্ট নজরকাড়া।
এছাড়াও জঙ্গলের মাঝেই রয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকান সেনাদের তৈরি বিশাল রানওয়ে, যা বাসুদেবপুর চাতাল বলে পরিচিত। সঙ্গে নতুন করে সেজে উঠেছে জয়পুরের সমুদ্রবাঁধ লাগোয়া সুরধনী পার্কটি। ঐ সমুদ্র বাঁধে রয়েছে নৌকাবিলাসের ব্যবস্থা। আর পার্কে রয়েছে দু’টি গাছবাড়ি এবং দু’টি কটেজ। সব মিলিয়ে দেশ বিদেশের পর্যটকদের সাদরে গ্রহণ করতে প্রস্তুত বাঁকুড়ার জয়পুর।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা বাজেটে এবার পর্যটন উৎসবে জেলার লোক শিল্পীদের বেশী বেশী অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সঙ্গে প্রতিদিন সন্ধ্যায় কলকাতা ও মুম্বাইয়ের প্রথিতযশা শিল্পীরা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও অন্যান্য বেসরকারী স্টলের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ১০ টি স্টল থাকছে বলে তিনি জানান।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জয়পুরের বিডিও জয়পুর বিট্টু ভৌমিক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টগরী মাঝি প্রমুখ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.