সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : কলকাতার যে কোনও দোকানে তন্দুর চা কিনে খান। ৫০ টাকার নীচে দাম নেবে না। নয়া কফি হাউসের মতো যদি কোনও ক্যাফেতে এসব ক্ষেতে চান তাহলে সে দাম ১০০তেও ঠেকতে পারে কিন্তু এখানে মাত্র ১০ টাকায় মিলছে অসাধারন স্বাদের তন্দুর চা।
গ্রামীণ হাওড়ার ছোট্ট দোকানের সামনে বিকেল হলেই ভিড় জমতে শুরু করছে। কেউ আসছেন আলমপুর থেকে, কেউবা আবার রাণীহাটি কিমবা ধুলাগড় থেকে। আট থেকে আশি সবার উদ্দেশ্য একটাই চায়ের ভাঁড়ে চুমুক দেওয়া। তবে এযেসে চা নয়। মাত্র দশ টাকা দিলেই হাওড়ার প্রত্যন্ত গ্রামের বুকে মিলছে স্বাদে অতুলনীয় তন্দুরী চা। আর তার টানেই প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত অব্ধি ভিড় জমছে পাঁচলা থানার জুজারসাহা বাগানগোড়ার জানা টি কর্ণারে। প্রতিদিন শতাধিক ক্রেতাকে তন্দুরী চা পৌঁছে দিতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে দোকানের কর্মচারীদের।
তন্দুরী চায়ের ভাঁড়ে এক চুমুক দিলেই পোড়া মাটির গন্ধে প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার আবালবৃদ্ধবনিতার। চায়ের মৌতাত নিতে এবার শীতে যে এক্কেবারে হিট পাঁচলার তন্দুরী চা তা নির্দ্বিধায় বলাই যায়। শহর কলকাতার একাধিক জায়গাতে মেলে তন্দুরি চা।
বাড়িতে যে তন্দুরী চা তৈরি করতে পারেন। তন্দুরী চা বানাতে লাগবে ১ কাপ জল , চা পাতা, আদা, দারচিনি, এলাচ গুঁড়ো, কেশর, দুধ- দেড় কাপ, মাটির ভাঁড়। তন্দুরি চা বানানোর পদ্ধতি স্টেপ বাই স্টেপ
প্রথমে গ্যাসে এক কাপ জল ফুটতে দিন। এরপর জলে দুই থেকে আড়াই চামচ চা-পাতা দিয়ে দিন। এই চা বানাতে অবশ্যই লাগবে মাটির ভাঁড়। এই মাটির ভাঁড়কে গ্যাসের হাল্কা ফ্লেমে সেঁকে নিতে হবে। এর জন্য একটি চিমটে দিয়ে ভাঁড়টি বার্নারের ওপর বসান। এবার চিমটের সাহায্যে ভাঁড়টি আসতে আসতে ঘোরাতে থাকুন। ভাঁড়ের ভেতরের দিকটিও যাতে সমানভাবে সেঁকা হয় সেই দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। দেখবেন আগুনের তাপে মাটির ভাঁড়টি ধীরে ধীরে তার রঙ পরিবর্তন করতে শুরু করে দিয়েছে। রঙ পরিবর্তন করতে শুরু করলে মাটির ভাঁড়টি একটি সাঁড়াশির সাহায্যে নামিয়ে নিন।
এরপর আর অপেক্ষা না করে মাটির ভাঁড়টি একটি প্যানের ওপর বসান। ওই তপ্ত ভাঁড়ের মধ্যে গরম গরম চা ঢালতে থাকুন। ভাঁড় উপচে পড়লেও ঢালতে থাকুন। ভাঁড়ের মধ্যে বুদবুদ দেখা যাচ্ছে। ভাঁড় তপ্ত হওয়ার কারণেই এই বুদবুদ দেখা দেবে। আর এই বুদবুদই তন্দুরি চায়ের বিশেষত্ব।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.