স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: জোটে সিলমোহর পড়ার পর আসন বণ্টন নিয়ে এই প্রথমবার বৈঠকে বসছে বাম-কংগ্রেস৷ রবিবার বেলা ১১টায় এই বৈঠক রয়েছে৷ তার আগে কোন পথে দর কষাকষি করা হবে, তা নিয়ে শনিবার নিজেদের মধ্যে আলোচনা সারলেন প্রদেশ নেতারা।

দু’‌পক্ষই জোটের পক্ষে সওয়াল করেছিল। সেইমতো বিধানসভা নির্বাচনের একসঙ্গে লড়াইয়ের কথা সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে জট তৈরি হতে পারে বলে সূত্রের খবর।বিধান ভবন সূত্রে খবর,কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি তিন জেলা – পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদহের যে আসনগুলি দলের পক্ষে ইতিবাচক, সেগুলি কোনওভাবেই বামেদের ছাড়া হবে না। বামেরা তাদের দাবি না মানলে সেক্ষেত্রে কংগ্রেস ওইসব আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের প্রস্তাব দেবে।

এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য আগেই বলেছেন, ‘‌মুর্শিদাবাদ–মালদহ শক্তিশালী ঘাঁটি। সুতরাং বেশি আসন চাইতেই পারি। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’‌ বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, ‘‌এটা নিয়ে যৌথ আলোচনা চলছে। অতি উৎসাহী হয়ে কেউ কেউ নানা ভাবনাচিন্তা করতে পারেন।’‌

২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস–বামেদের আসন সমঝোতা হয়েছিল। আলিমুদ্দিনের তথ্য বলছে, তখন কংগ্রেসের প্রতীকে ৯২টি আসনে প্রার্থী ছিল। সিপিএমের প্রার্থী ছিল ১৪৮টি আসনে। বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক ২৫টি, আরএসপি ১৯ এবং সিপিআই ১১টি আসনে লড়েছিল। আর প্রায় ১৫–১৬টি আসন এমন ছিল, যেখানে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’ হয়েছিল। অর্থাৎ কংগ্রেস ও বাম শরিক, উভয়েরই প্রার্থী ছিল। হিসেব করলে দেখা যাচ্ছে, মোট ২৯৪টি আসনে বাম ও কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন ৩০৯ জন। অন্যদিকে, কংগ্রেসকে কোনওভাবেই একশোর বেশি আসন ছাড়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাম শিবির। তাদের বরাদ্দ একটি আসনও কংগ্রেসকে ছাড়বে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাম শরিকরা। এই পরিস্থিতিতে কোন পথে জোটের জট কাটে, সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনাকালে বিনোদন দুনিয়ায় কী পরিবর্তন? জানাচ্ছেন, চলচ্চিত্র সমালোচক রত্নোত্তমা সেনগুপ্ত I