কলম্বো: দুই ওপেনার কুশল পেরেরা এবং লাহিরু থিরিমানের শতরানের ওপেনিং পার্টনারশিপে গল টেস্টে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টায় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু অধিনায়ক জো রুটের ধ্রুপদী দ্বিশতরানে প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রানের বিশাল লিড নেওয়া ইংল্যান্ড প্রথম টেস্টের তৃতীয়দিনের শেষে এখনও অ্যাডভান্টেজ। শনিবার তৃতীয়দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে আপাতত ২ উইকেটে ১৫৬ রান তুলেছে দ্বীপরাষ্ট্র। ইংল্যান্ডের চেয়ে এখনও তারা পিছিয়ে ১৩০ রানে।
এর আগে তৃতীয়দিন সফরকারী দলের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪২১ রানে। দ্বিতীয়দিন যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকে শুরু করেই তৃতীয়দিন টেস্ট ক্রিকেটে নিজের চতুর্থ দ্বিশতরানটি পূর্ণ করেন ইংরেজ অধিনায়ক জো রুট। ২০১৪ লর্ডসের পর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এটি দ্বিতীয় দ্বিশতরানের ইনিংস রুটের। দ্বিশতরান করার পথে টেস্ট কেরিয়ারে এদিন ৮ হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন রুট। স্টুয়ার্ট ব্রডকে সঙ্গে নিয়ে এদিন গলে ডাবল টন স্পর্শ করেন রুট। এরপর ব্যক্তিগত ২২৮ রানে ইংরেক অধিনায়ক শ্রীলঙ্কার ডানহাতি স্পিনার দিলরুবান পেরেরার শিকার হতেই যবনিকা নেমে আসে ইংল্যান্ড ইনিংসের।
৩২১ বলে ইংরেজ অধিনায়কের এই ইনিংস সাজানো ছিল ১৮টি বাউন্ডারি এবং একটিমাত্র ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দু’ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেই ভারতের মাটিতে তিন ফর্ম্যাটের সিরিজ খেলতে আসবে ইংল্যান্ড। যার মধ্যে রয়েছে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। সবমিলিয়ে ভারত সফরের আগে গল টেস্টে দ্বিশতরান করে প্রচ্ছন্ন বার্তা দিয়ে রাখলেন রুট।
প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রানে পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা দুর্দান্ত করেন দুই সিংহলী ওপেনার কুশল পেরেরা এবং লাহিরু থিরিমানে। এই দুই ব্যাটসম্যানের ওপেনিং জুটিতে ওঠে ১০১ রান। ১০৯ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে কারেনের বলে জ্যাক লিচের হাতে ধরা পড়েন কুশল পেরেরা। দ্বিতীয় উইকেটে থিরিমানের সঙ্গে ৫৪ রান যোগ করে ব্যক্তিগত ১৫ রানে আউট হন কুশল মেন্ডিস। তবে দিনের শেষে ৭৬ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ভরসা দিচ্ছেন আরেক সিংহলী ওপেনার লাহিরু থিরিমানে। সঙ্গে শূন্য রানে অপরাজিত রয়েছেন নাইট ওয়াচম্যান লাসিথ এম্বুলদেনিয়া।
উল্লেখ্য, ডম বেসের স্পিনের ছোবলে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৩৫ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কার ইনিংস। ৩০ রান দিয়ে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ইংরেজ স্পিনার বেস।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.