ভিডিও কনফারেন্সে টিকাকরণের সূচনা প্রধানমন্ত্রীর! ভ্যাকসিনও নিতে হবে, সতর্কতাও বজায় রাখতে হবে, বললেন মোদী
দেশ জুড়ে করোনার টিকাকরণের (corona vaccine) সূচনা হল। এদিন সকাল সাড়ে দশটায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই টিকাকরণের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (narendra modi) । তিনি বলেন, এটা বিশ্বের সব থেকে বড় টিকাকরণ। বিজ্ঞানীরা দিন রাত এক করে দুদুটি টিকা তৈরি করেছেন। অতি কম সময়ে দুটি মেড ইন ইন্ডিয়া টিকা তৈরি করা হয়েছে বলেও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

গুজব, প্রচারে কান নয়
কোটি কোটি দেশবাসীকে ধন্যবাদ দিয়ে এদিন ভাষন শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সবাই জিজ্ঞাসা করছিলেন, ভ্যাকসিন কবে পাওয়া যাবে। এবার নির্দিষ্টভাবে বলে দেওয়া যায়, এখন সেটি পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য তিনি দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন খুব কম সময়ে দেশের বিজ্ঞানীরা দু-দুটি মেড ইন ইন্ডিয়া ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন। আর বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দুটি ভ্যাকসিনই সুরক্ষিত। ফলে ভ্যাকসিন নিয়ে কোনও গুজব, কিংবা প্রচারে কান না দিতে অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

দুটি ডোজ অবশ্যই নিতে হবে, রাখতে হবে সতর্কতা
তিনি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ অবশ্যই নিতে হবে। একটি নিয়ে ভুলে গেলে চলবে না। দ্বিতীয় ভ্যাকসিন নেওয়ার ১৪ দিন পর থেকে তা কার্যকরী হবে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও সতর্কতা বজায় রাখতে হবে। ভ্যাকসিন নিলাম আর কোনও নিয়ম মানলাম না, তা করলে চলবে না। মাস্ক অবশ্যই পরতে হবে এবং আগেকার মতো দুগজের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনতা কারফিউ দিয়ে আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষার শুরু হয়। সেটাই দেশে লকডাউনের প্রস্তুতিতে সাহায্য করেছে। হাতে তালি দেওয়া আর প্রদীপ জ্বালানোর মধ্যে দিয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা আমাদের মনোবলকে উঁচুতে ধরে রেখেছি।

বিশ্বের ইতিহাসে সব থেকে বড় টিকাকরণ কর্মসূচি
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন দেশে প্রথম পর্যায়ে ৩ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের টিকাকরণ করা হবে। তারপর বয়স্ক এবং কোমর্বিডিটি যুক্ত ৩০ কোটি মানুষকে টিকাকরণ করা হবে। তিনি বলেন ভারতের টিকাকরণ কর্মসূচি বিশ্বের ইতিহাসে সব থেকে বড় টিকাকরণ কর্মসূচি। কেননা, বিশ্বের তিনটি দেশ ভারত, চিন এবং আমেরিকার জন সংখ্যা ৩০ কোটির বেশি। সেখানে দেশে দ্বিতীয় দফতাতেই ৩০ কোটি মানুষকে টিকাকরণের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

অন্যদেশগুলির পাশে থাকার আশ্বাস
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ভারত বিভিন্ন দেশকে হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন-সহ অন্য ওষুধ দিয়ে সাহায্য করেছে। এবার টিকাকরণের পর্যায়েও ভারত অন্য দেশগুলিকে সাহায্য করবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিনে করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন দেশ যখন, তাদের নাগরিকদের চিনে ফেলে রেখেছিল, সেই পরিস্থিতিতে বন্দেভারত মিশনের মাধ্যমে ভারত তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে এনেছে। এছাড়াও প্রতিবেশী দেশগুলির নাগরিকদেরও ফিরিয়ে এনেছিল ভারত।