মমতাকে কংগ্রেসে ঘরওয়াপসির বার্তা অধীরের! বিজেপিকে রোখার রাস্তা দেখালেন একুশে
বিজেপিকে পরাস্ত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করার আহ্বান জানিয়ে কংগ্রেসকে জোট প্রস্তাব দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। আর তৃণমূলের প্রস্তাব পেয়ে বল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোর্টে ফেললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বললেন, বিজেপিকে থামাতে মূল বিকল্প কংগ্রেসই।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজে যদি প্রস্তাব দেন...
তৃণমূল ও কংগ্রেসের জোট সম্ভাবনা প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোর্টে বল ফেলে অধীর চৌধুরী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজে যদি প্রস্তাব দেন, তবে তা ভেবে দেখতে পারে কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখিতভাবে জানাতে হবে। আমরা আমাদের জবাব লিখিতভাবে তাঁকে জানাব।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কংগ্রেসে ফেরার আহ্বান
এ প্রসঙ্গে আবার অধীর চৌধুরী ঘুরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কংগ্রেসে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, একটা সময়ে যাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁরা বর্তমানে বুঝতে পারছেন কংগ্রেস ছাড়া তাঁদের কোনও গতি নেই। সেইমতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কংগ্রেস ছেড়ে বুঝতে পারছেন কংগ্রেসের কত দরকার।

বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই, আবার কংগ্রেসকে মনে পড়েছে
অধীর বলেন, অনেকে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে কংগ্রেসকে শেষ করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস আজও আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আজ আবার কংগ্রেসকে মনে পড়েছে। বাম দলগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস। আরও শক্তিশালী লড়াই দেখাবে কংগ্রেস ও বামেরা।

কংগ্রেসকে ছাড়া বাঁচার রাস্তা নেই তৃণমূলের!
তৃণমূল কংগ্রেস এৎন বুঝতে পারছে, কংগ্রেসকে ছাড়া তাদের বাঁচার রাস্তা নেই। তাই তাঁরা এখন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেসকে প্রস্তাব দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালেও তৃণমূলকে কংগ্রেসের হাত ধরতে হয়েছিল ৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান ঘটাতে। আবার বিজেপির মতো উঠতি শক্তিকে মোকাবিলা করতেও কংগ্রেসের স্মরণ নিতে হচ্ছে তৃণমূলকে।

২০২১-এর লড়াই যখন কঠিনতর হচ্ছে তৃণমূলের কাছে
২০১৯ সালে বিজেপির উত্থানের তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাকফুটে চলে যায়। তার ফলে ২০২১-এর লড়াই তাদের কাছে কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসকে প্রস্তাব দিয়েছে তৃণমূল। আর তারপরই পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কংগ্রেসে ফেরার প্রস্তাব দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। জাতীয় রাজনীতিতে প্রণব থেকে প্রিয়রঞ্জন, চিদাম্বরম থেকে শারদ পাওয়ারের উদাহারণও রয়েছে তাঁদের সামনে।