সুভাষ বৈদ্য,কলকাতা: গোটা দেশের মত বাংলার কাছেও শনিবার ছিল বহু প্রতিক্ষিত একটি দিন৷ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে রাজ্যে প্রথমদিনের টিকাকরণ সার্বিক ভাবে সফল৷ এমনটাই দাবি স্বাস্থ্য দফতরের৷

প্রথম দিন রাজ্যে ২০৭টি টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হল৷ এর মধ্যে কলকাতায় ছিল ১৯ টি কেন্দ্র৷ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী৷ এদের মধ্যে ছিলেন ডাক্তার,নার্স,হাউসকিপিং এবং প্রথম সারির যোদ্ধারা৷

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, প্রথম দিন শনিবার রাজ্যে ১৫ হাজার ৮৮৩ জনকে করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে৷ এদের মধ্যে কলকাতার ১,১৩৭ জন টিকা পেলেন৷ দেশজুড়ে ৩ হাজার ৬টি কেন্দ্রে হয় ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্র৷ শনিবার সারা দেশে ভ্যাকসিন পেলেন ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭১৪ জন৷ প্রতিটি কেন্দ্রে ১০০ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল৷ একটি শিশি থেকে মোট ১০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়৷

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে আরও খবর, প্রথম দফার টিকাকরণের দ্বিতীয় পর্যায় আগামী সোমবার৷ সোম, মঙ্গল, শুক্র, শনিবার দেওয়া হবে টিকা৷ অর্থাৎ আগামী সপ্তাহে ৪দিন হবে টিকাকরণ৷

সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে ছিল টিকাকরণ কেন্দ্র৷ এছাড়া কলকাতা পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকেও ভ্যাকসিন দেওয়া হয়৷ ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে যে কোনও একটি পরিচয়পত্র দেখাতে হয়েছে টিকা প্রাপককে৷

কলকাতার টিকাকরণ কেন্দ্রগুলো ছিল-এসএসকেএম, এনআরএস, ন্যাশনাল মেডিক্যাল, চিত্তরঞ্জন সেবাসদন, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন, ডঃ বিসি রায় পিজি ইনস্টিটিউশন, বেলেঘাটা আইডি, এমআর বাঙ্গুর হাসপাতাল৷ সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি পুরসভার ১১, ৩১, ৫৭, ৮২ ও ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও টিকাকরণ কেন্দ্র ছিল৷ এছাড়া মুকুন্দপুর আরএন টেগোরসহ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে ছিল ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্র৷

টিকাকরণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘কোউইন’ অ্যাপটি। প্রতিষেধক নেওয়ার আগে তাতে নাম এবং পরিচয় নথিভুক্ত করতে হচ্ছে প্রাপকদের। প্রতিষেধক নেওয়ার পর কোনওরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কি-না, তাও এই অ্যাপে নথিভূক্ত করা যাবে। কত ডিগ্রি তাপমাত্রায় এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা যাবে সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যও মিলবে কোউইন-এ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনাকালে বিনোদন দুনিয়ায় কী পরিবর্তন? জানাচ্ছেন, চলচ্চিত্র সমালোচক রত্নোত্তমা সেনগুপ্ত I